ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হওয়া চার ইউরোপীয় দেশকে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। সোমবার (২৫ মার্চ) ইসরায়েল দেশগুলোকে বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে তাদের পরিকল্পনা সন্ত্রাসবাদের পুরস্কার হবে। যা আলোচনার মাধ্যমে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘাত অবসানের সুযোগ কমিয়ে দেবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
স্পেন শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ঘোষিত রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির দিতে প্রথম পদক্ষেপ নিতে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়ার সঙ্গে সম্মত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গাজা। হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিরোধী এবং ৭ ইসরায়েলে তাদের হামলা দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। গাজায় যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা বেড়েছে। ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরে ব্যাপক ইহুদি বসতি রয়েছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ৭ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হামাস ও অপর ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে একটি বার্তা দেবে। আর তা হলো, ইসরায়েলিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার জন্য ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি লিখেছেন, সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই কেবল এর অবসান সম্ভব। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার যে কোনও উদ্যোগ এমন সমাধানকে দূরবর্তী এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বাড়াবে।
তবে কোন ধরনের সমাধানের কথা তিনি বিবেচনা করছেন তা উল্লেখ করেননি। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটে তার নেতৃত্বে বসতিপন্থি উগ্র ডানপন্থিরা রয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে এই বিষয়ে ইসরায়েলের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। হামাসকে নির্মূলে ইসরায়েলের যুদ্ধকে পশ্চিমারা সমর্থন করলেও তারা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গাজার জন্য একটি কূটনৈতিক রূপরেখার দাবি জানাচ্ছে।