ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গভীর রাতে ইসরায়েলের একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানার পর সকালজুড়ে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ২০ তলা ভবনের মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত। এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে দুইজন আশ্রয়কেন্দ্রেও অবস্থান করছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি দুটি বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের মাঝের দেয়ালে আঘাত করে। দেয়ালটি সরাসরি বিস্ফোরণের ধাক্কা সহ্য করতে পারেনি। তৃতীয় এক বাসিন্দা উপরের তলায় ছিলেন। হামলায় আশপাশের আরও তিনটি ভবনও গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোট প্রায় ৩০০টি ফ্ল্যাট এখন খালি। বাসিন্দারা তাদের মালপত্র সংগ্রহ করতে এলেও কেউ জানেন না কবে ফিরতে পারবেন। সকাল ৪টার দিকে এ হামলা ঘটে। এলাকাটি আবাসিক, আশপাশে কোনও কৌশলগত স্থাপনাও নেই।
ইসরায়েল বলছে, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরানি পাল্টা-হামলা ইসরায়েলের বড় পরিসরের সামরিক অভিযানের জবাব।
এ ঘটনায় ইসরায়েলজুড়ে মনোভাবের পরিবর্তন স্পষ্ট। বহু ইসরায়েলি বিশ্বাস করতেন, তাদের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। কিন্তু ইরানের পাল্টা হামলার পর সেই আস্থা নড়বড়ে হয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনও শক্তিশালী, তবে ‘শতভাগ নিখুঁত’ নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই হামলা ইসরায়েলিদের মনস্তত্ত্বে বড় ধাক্কা দিয়েছে—কেবল ক্ষয়ক্ষতির জন্য নয়, নিরাপত্তাবোধেরও অবসানের জন্য।
সূত্র: বিবিসি