X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে না: জাতিসংঘ

বিদেশ ডেস্ক
০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৪১আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৪

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার হওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট নতুন বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেজের মুখপাত্র বলেছেন, রাখাইনে নিরাপদবোধ না করলে জোর করে সেখানে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে না।

জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে না: জাতিসংঘ

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক বলেন, মানুষের যাওয়া উচিত। মানষ বা শরণার্থীদের নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়া উচিত যখন তারা নিরাপদবোধ করবে। তাদের জোর করে পাঠানো উচিত হবে না।

এর আগে ওই দিনই জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রা’দ আল হুসেইন মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ অধিবেশনে যথাযথ সময়ের আগে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তিনি জানান, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো উচিত নয় বলে মনে করছে কমিশন। ‘যতোক্ষণ পর্যন্ত রাখাইন পরিস্থিতিকে যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করা যায়, ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না’ মন্তব্য করেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্বিচার গুলি চালিয়ে হত্যা, গ্রেনেডের ব্যবহার, খুব কাছাকাছি অবস্থান থেকে গুলি করা, ছুরিকাঘাত, পিটিয়ে হত্যা এবং ঘরে মানুষ থাকা অবস্থায় তা জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাদ আল হোসেন। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ হিসেবে এইসব অপরাধের শিকার হওয়ার ঘটনাকে গণহত্যা ছাড়া আর কী বলা যাবে।

গুতেরেজের মুখপাত্রও বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব স্পষ্ট করেছেন ও রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগে বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন।  তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসনেজাতিসংঘে জড়িত সবাই একমত হবেন বলেই আমি করি। শরণার্থীদের নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত যখন সেখানে মুক্ত পরিবেশ ও তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো হবে।

এ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই সেনা অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে। নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ও মানবতার পক্ষের মানুষেরা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনী।সৃষ্ট সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে সম্প্রতি মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে। তবে চুক্তির পরও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

 

 

 

/এএ/
সম্পর্কিত
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা
সর্বশেষ খবর
কম্বোডিয়ায় অস্ত্রাগার বিস্ফোরণে নিহত ২০
কম্বোডিয়ায় অস্ত্রাগার বিস্ফোরণে নিহত ২০
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু
খুদে ক্রিকেটারদের ৬০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি দিলো প্রাইম ব্যাংক
খুদে ক্রিকেটারদের ৬০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি দিলো প্রাইম ব্যাংক
মে থেকে  বাংলাদেশে ফ্লাইট শুরু করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স
মে থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট শুরু করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু