সিরিয়ার ইদলিবে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে তুরস্ক। শনিবার সিরীয় বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি ইদলিবে কয়েকশ সামরিক যান প্রবেশ করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় সিরিয়ার সেনাবাহিনী ইদলিবের গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এই সামরিক উপস্থিতি বাড়ালো আঙ্কারা।
ইদলিবে সিরিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রায় ৫ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এই অভিযানের ফলে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতায় শিথিলতা এসেছে। তুরস্কে প্রায় ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থী অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলমান অভিযানে আবারও তুরস্কে শরণার্থীদের ঢল নামবে।
ইদলিবে তুরস্কের সেনা মোতায়েন বাড়ানোর খবর এমন সময় আসলো যখন রাশিয়া ও তুর্কি কর্মকর্তারা আঙ্কারায় আলোচনায় মিলিত হতে যাচ্ছেন। সিরিয়ার নয় বছরের গৃহযুদ্ধে রাশিয়া সমর্থন দিচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে এবং তুরস্ক আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছে। বিদ্রোহীদের সহযোগিতায় ২০১৭ সাল থেকে ইদলিবে তুর্কি সেনা মোতায়েন রয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান গত সপ্তাহে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছিলেন, ইদলিব থেকে রুশ সমর্থিত সিরীয় সেনাদের প্রত্যাহার করা না হলে তুরস্ক পাল্টা হামলা চালাবে।
তুরস্কের এই হুমকির পরও ইদলিবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সোমবার সিরীয় বাহিনীর অভিযানে আট তুর্কি সামরিক কর্মী নিহত হন।
এই ঘটনার পর তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, ইদলিবে তাদের সেনাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
শনিবার সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় তুরস্কের অন্তত ৪৩০টি সামরিক যান ইদলিবে প্রবেশ করেছে।