রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সাই নাভালনির বিশ্বাস, তাকে বিষ প্রয়োগের পেছনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত ছিল। বৃহস্পতিবার জার্মান ম্যাগাজিন ডের স্পিগেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩২ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনের চ্যারিটি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন নাভালনি। বৃহস্পতিবার জার্মান ম্যাগাজিন ডের স্পিগেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ঘটনায় পুতিনের হাত রয়েছে; এছাড়া আমি অন্য কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি।’
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, এই ধরনের বিষ প্রয়োগের চিন্তা ৩টা গোয়েন্দা সংস্থার মাথা থেকে আসতে পারে, যারা প্রত্যেকেই পুতিনের অধীনে কর্মরত। তিনি সতর্ক করেন, যদি এমন হয় যে ৩০ জন মানুষের হাতে এই ধরনের বিষ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে; তাহলে সেটা কেবল রাশিয়া নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই হুমকি।
গত ২০ আগস্ট সকালে একটি ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কোয় ফেরার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলেক্সাই নাভালনি। পরে বিমানটিকে জরুরি ভিত্তিতে সাইবেরিয়ার ওমস্কে অবতরণ করিয়ে তাকে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি কোমায় চলে যান। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বার্লিনের চ্যারিতে হাসপাতালে। ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।
প্রাথমিকভাবে নাভালনির সহযোগীদের ধারণা ছিল টমেস্ক বিমানবন্দরে গ্রহণ করা চায়ের সঙ্গে তার ওপর বিষপ্রয়োগ করা হয়। পরে তারা জানান, তার অবস্থান করা হোটেল কক্ষে খালি পানির বোতলে নার্ভ এজেন্ট শনাক্ত করা গেছে। জার্মানির পক্ষ থেকেই প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, নাভালনিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। তার শরীরে নোভিচক নার্ভ এজেন্ট শনাক্তের পর স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে পুতিন সরকার শুরু থেকেই বিষ প্রয়োগের অভিযোগ নাকচ করে আসছে।