রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডুমাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দায়মুক্তি দেওয়ার একটি আইন পাস হয়েছে। জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণভোটে যেসব সংবিধান সংশোধনী পাস হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে এই আইনও ছিল। এটি চূড়ান্ত হতে আরও কয়েকটি ধাপ বাকি আছে। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্নকক্ষ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ডুমাতে প্রথমবার উত্থাপনে আইনটি পাস হয়েছে। এখানকার সদস্যরা বেশিরভাগই পুতিনপন্থী ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সদস্য। বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ৩৭ জন কমিউনিস্ট এমপি। আরও দুইবার এটি উত্থাপন করা হবে। এরপর তা যাবে উচ্চ কক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলে। সেখানে পাস হলে খোদ পুতিনের কাছে তা স্বাক্ষরের জন্য যাবে।
দায়মুক্তি ধারাতে একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যরা যে কোনও পুলিশি তৎপরতা, যেমন- তল্লাশী বা জিজ্ঞাসাবাদ বা তাদের সম্পত্তি জব্দ করা থেকে রক্ষা পাবেন। ষড়যন্ত্র বা বিশেষ কোনও ধরনের অপরাধ ছাড়া জীবদ্দশায় তাদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য বিচার করা যাবে না।
পুতিন ছাড়া এখন জীবিত থাকা একমাত্র রুশ প্রেসিডেন্ট হলেন দিমিত্র মেদভেদেভ। তিনি পুতিনের মিত্র। রুশ প্রেসিডেন্ট না হওয়ার কারণে সাবেক সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ এই আইনের আওতায় আসবেন না।
পুতিনের চতুর্থ মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। কিন্তু সংবিধান সংশোধনীর ফলে তিনি আরও দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তার বয়স এখন ৬৮ বছর। এখন পর্যন্ত তার উত্তরসূরী হিসেবে কাউকে বেছে নেওয়া হয়নি।
দায়মুক্তি আইন প্রণয়নের ফলে পুতিনের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন। তার কঠোর সমালোচক আলেক্সেই নাভালনি টুইটারে লিখেছেন, পুতিনের এখন কেন দায়মুক্তি আইন প্রয়োজন হচ্ছে? স্বৈরাচাররা কি নিজেদের ইচ্ছে মতো দায়িত্ব ছাড়তে পারেন?