টানা নবমবারের মতো সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জাপান। আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন অর্থবছরে রেকর্ড ৫.৩৪ ট্রিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ পাচ্ছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যা এ বছরের চেয়ে ১.১ শতাংশ বেশি। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তিকে টেক্কা দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান ও দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সরকার সামরিক বাজেট অনুমোদন করে। পার্লামেন্টে সুগার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় প্রস্তাবটি কার্যকর হওয়া না হওয়ার প্রশ্নে কোনও অনিশ্চয়তা থাকছে না। সামরিক ব্যয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে পূর্বসূরী শিনজো আবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাচ্ছেন সুগা। প্রতিবেশী চীনসহ অন্য সম্ভাব্য শত্রু দেশগুলোকে টেক্কা দিতে নিজেদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নতুন বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারেউপহার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কেনা হচ্ছে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও।
প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলার মূল্যের একটি যুদ্ধবিমান নির্মাণাধীন আছে। এটি ২০৩০ এর দশকের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। মার্কিন লকহিড মার্টিন কোম্পানির সহযোগিতায় এ প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। নতুন বাজেটের আওতায় কোম্পানিটিকে ৭০৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ওকিনাওয়ান দ্বীপ এলাকার সুরক্ষায় দীর্ঘ পাল্লার এন্টি শিপ তৈরির কাজ শুরু করতে ৩২৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে জাপান। অন্য বড় সামরিক ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে-৬২৮ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ছয়টি লকহিড এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়।
দুইটি কমপ্যাক্ট যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করতে ৯১২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ পাবে জাপানের সেনাবাহিনী।