X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার ডাকাতি তদন্তে ফায়ার আই

বিদেশ ডেস্ক
১১ মার্চ ২০১৬, ১৩:১৩আপডেট : ১১ মার্চ ২০১৬, ১৩:৫৩
image


ফায়ার আই অনলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার ডাকাতির ঘটনার তদন্তে প্রখ্যাত তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান ফায়ার আইকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফায়ার আইয়ের ম্যান্ডিয়ান্ট ফরেনসিক বিভাগের একটি দল ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। বিশ্বস্তসূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।  
রয়টার্সের ওই দুই সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার ডাকাতির তদন্তরত প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ইনফরম্যাটিক্স, তাদের দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না বলে সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক বৃহৎ তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান ফায়ার আইকে সহযোগিতার জন্য নিয়ে এসেছে।  
ওয়ার্ল্ড ইনফরম্যাটিক্সের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রাকেশ আস্থানা, যিনি বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি চিফ ইনফরমেশন অফিসার। আস্থানা এই তদন্তের জন্য ম্যান্ডিয়ান্টকে নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতর বলে রয়টার্সের ওই সূত্র নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
রয়টার্সের ওই সূত্রের একজন বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকাররা কিভাবে তথ্য চুরি করেছে, তা তদন্তে সহযোগিতা করতে আগ্রহী মার্কিন সরকার । সূত্র জানায়, এফবিআই এবং মার্কিন বিচার বিভাগ এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে  গোপন তথ্য আদান-প্রদান করেছে।

এফবিআই, ইউএস সিক্রেট সার্ভিস, বিচার বিভাগ ও ইউএস ট্রেজারির ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। গত মাসে এই সাইবার ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ্যে আসে গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের একটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশের পর।

ফিলিপাইনের স্থানীয় পত্রিকা ইনকোয়ারার জানিয়েছে, সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ সরানো হয় ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে। শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর অ্যাকাউন্টে ২০ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হলেও বানান ভুল থাকায় তা আটকে যায়। আর ফেডারেল ব্যাংকের সন্দেহ তৈরি হওয়ায় হ্যাকাররা পরবর্তীতে আর অর্থ সরাতে সক্ষম হয়নি।

উল্লেখ্য, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম এবং সুইফট কোড নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সিস্টেমে ৩০টি পেমেন্ট অ্যাডভাইজ পাঠায় ফিলিপাইনের স্থানীয় ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের জন্য। আর এটি একটি সয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। এর মধ্যে ৫টি অ্যাডভাইজ অনার করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। আর এই পাঁচটি অ্যাডভাইজে মোট ১০ কোটি ডলার (১০০ মিলিয়ন) হ্যাকারদের হাতে চলে যায়।

এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার মাঝপথে আটকে গেলেও ফিলিপাইনে নেওয়া ৮ কোটি ডলার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই অর্থ ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে পাচার হয়ে যেতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স।  

/এসএ/এপিএইচ/


সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা