ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে জড়াতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে নিরুৎসাহিত করেছেন শীর্ষ এক মার্কিন কর্মকর্তা। লেবাননের রাজধানী বৈরুত সফররত সিরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত ও তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত থমাস ব্যারাক বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বলেন, এই যুদ্ধে হিজবুল্লাহ’র অংশ নেওয়া হবে ‘খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত’। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
থমাস ব্যারাক বৈরুতে লেবাননের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন হামলা চালানোর নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র লেবাননকে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন থমাস ব্যারাক।
হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ মিত্র ও লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নবীহ বেরির সঙ্গে বৈঠকের পর ব্যারাককে জিজ্ঞাসা করা হয়, হিজবুল্লাহ যদি এই আঞ্চলিক সংঘাতে যুক্ত হয় তাহলে কী হতে পারে?
উত্তরে ব্যারাক বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলতে পারি—যা তিনি পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করেছেন এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও বলেছেন—এটি হবে একেবারে, একেবারে, একেবারে খারাপ সিদ্ধান্ত।’
হিজবুল্লাহ ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং ইরানের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার সংগঠনটি বলেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে হুমকির ভয়াবহ পরিণতি হবে।
তবে হিজবুল্লাহ এখনও সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর হুমকি দেয়নি। গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরু করার পর হিজবুল্লাহ এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সংগঠনটি তার পক্ষ থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাবে না।
গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে হিজবুল্লাহ ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ওই যুদ্ধে সংগঠনটির নেতৃত্ব বিপর্যস্ত হয়, হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হয় এবং দক্ষিণ লেবানন ও বৈরুতের কাছে সংগঠনের ঘাঁটিগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওই যুদ্ধের অবসান ঘটানো যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছিল, লেবাননের সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কোনও সংগঠন অস্ত্র না ধরে।
বৃহস্পতিবার ব্যারাক লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং রাষ্ট্রের অস্ত্রের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে থমাস ব্যারাক সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্বও গ্রহণ করেন।