X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিশ্রুতি দিলেও মুনতাসিরের পাশে নেই কেউ!

তাসকিনা ইয়াসমিন
০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৪০আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৪০

চিকিৎসার শুরুতে অনেকে খরচ যোগানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও চিকিৎসা শেষে কনজেনিটাল ডিজিজে আক্রান্ত মুনতাসির (৭) এর পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে না কেউ। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রথম ধাপে গত শনিবার রাজধানীর এমএইচ শমরিতা হাসপাতাল থেকে মুনতাসিরের পরিবারকে ছাড়পত্র দিলেও হাসপাতাল ছাড়তে পারেনি তারা।

মুনতাসির (৭) এখন হাসপাতাল নির্ধারিত ৪১ হাজার টাকা বিল দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছে মুনতাসিরের মা ও ভাই। যারা শুরু থেকে পাশে দাঁড়াবেন বলেছিলেন, তাদের না পেয়ে বিলের এই টাকা কোথা থেকে আসবে তা জানেন না মুনতাসিরের মা মোমেনা বেগম।

যদিও চিকিৎসক বলছেন, ‘যতটা সম্ভব ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের খাওয়া, নার্সের বিল এগুলোর খরচ তো দিতে হবে।’ সোমবার রাতে বাড়ি ফিরে যাওয়ার টিকেট করেছেন মুনতাসিরের পরিবার। মা মোমেনা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাহবুব নামের একজন আমার ছেলেকে সহায়তা করবে বলেছিলেন। আজ তাকে যখন ফোন দিলাম সে বলল, আগে তো পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি আমি আর কিছু দিতে পারব না।’

এ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ করতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি। রংপুরের পীরগঞ্জ থানার ঠাকুরদাস লক্ষ্মীপুর গ্রামে মোমেনা বেগমের বাড়ি। তিন বছর আগে কিনডি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন স্বামী মোস্তাফিজার। এখন তিন সন্তানকে নিয়ে তার সংসার। বড় ছেলে এইচএসসি ও মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে।

মুনতাসিরের বড় ভাই বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হাসপাতালের বেড ভাড়া ফ্রি কিন্তু নার্স বিল, খাবার বিল, আরও বিল মিলিয়ে ৪১ হাজার টাকা বিল এসেছে। আমরা তাদের বাকিতে দেওয়ার জন্য বলেছি। জানিনা কি হবে!’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি ঔষধ কোম্পানি সহযোগিতা করবে বলেছিল। তাদের ফোন দিলাম। তারা বলে যে, আপনারা হাসপাতালে ভর্তি থাকলে আমরা ফ্রি ঔষধ দেব। চলে গেলে কোনও আর্থিক সাহায্য করতে পারব না।’

এ ব্যাপারে হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে আরিফ নামের একজন বলেন, ‘এই রোগী তো কবীর স্যারের। তিনি যদি মাফ করে দেন তো মাফ হবে। তাছাড়া মাফ হবে না।’

মুনতাসিরকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুনতাসির আপাতত দুইমাসের জন্য বাড়ি যাবে। তার ওষুধপত্র লিখে দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে তাকে ফ্রি চিকিৎসা দেই, আমার জন্য বরাদ্দ টাকা তাদের দিতে হয় না। হাসপাতালের খাওয়া বাইরে থেকে আসে, খাবার বিলটা দিতে হবে। এখানে হাসপাতালের করণীয় কিছু নেই।’ তবে নার্সের জন্য বরাদ্দকৃত বিলটি মওকুফ করা সম্ভব, সেটি তিনি দেখবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেডে শুয়ে-বসেই সময় কাটে মুনতাসিরের

/ইউআই/এমও/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা