গেঁটে বাত বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সম্পূর্ণভাবে নিরাময় সম্ভব নয়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. তসলিম উদ্দিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘গেঁটে বাত শরীরের জয়েন্ট বা গিরার প্রদাহজনিত রোগ। যেকোনও বয়সের মানুষের মধ্যে এ রোগ বেশি হয়। সাধারণত নারীদের এই রোগ বেশি দেখা যায়। ধূমপায়ীদেরও এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে।’
রবিবার (৯ ডিসেম্বর) এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।
হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও হেলথ কেয়ার বায়োটেক এর সহযোগিতায় বিএসএমএমইউ এর রিউমাটোলজী বিভাগ এই আয়োজন করে। বিএসএমএমইউ’র ডা. মিল্টন হলে এই মতবিনিময় সভার গেঁটে বাত রোগীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চিকিৎসকেরা।
ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার বলেন, ‘শরীরে গেঁটে বাত রোগটি রয়েছে কিনা, এটা বুঝতে হলে প্রথমেই দেখতে হবে হাতের আঙুলগুলোর গিরা ফুলে গেছে কিনা। আর সকালে ঘুম থেকে উঠতে অলসতা লাগে কিনা অর্থাৎ বিছানা ছাড়তে এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে কিনা। এটা হলে বুঝবেন যে আপনার এই রোগ হয়েছে।’
ডা. শামসুন নাহার বলেন, ‘নারীরা যদি এই রোগ থেকে সুস্থ থাকতে চান, সংসারের কাজ শেষে অবশ্যই দিনে ৪০ মিনিট হাঁটবেন। এই হাঁটা আপনাকে সুস্থ রাখবে। এটা করলে ডায়াবেটিস বা আথ্রাইটিস কোনও রোগই আপনার কাছে আসবে না।’
রিউমাটোলজি রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকের সহযোগী অধ্যাপক ও সমন্বয়ক ডা. মশিউর রহমান খসরু বলেন, ‘প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিএসএমএমইউ এর রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকে রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর এই বিভাগটি চালু হয়। এখন পর্যন্ত এখানে ৩শ প্রদাহজনিত বাতরোগী রেজিস্ট্রেশন করে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
ডা. মশিউর রহমান খসরু বলেন, ‘দেশের প্রায় দশমিক সাত ভাগ রোগী এই রোগে আক্রান্ত। ধারণা করা হয়, দেশের ১৫ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। আর পৃথিবীর জনসংখ্যার ১ ভাগ এই রোগে আক্রান্ত।’
আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক, অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এমএ শাকুর, অধ্যাপক ডা. মো. আহসান উল্লাহ, ডা. মো. আলী ইমরান, ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, ডা. মো. তরিকুল ইসলাম ও হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক সেবিকা দেবনাথ প্রমুখ।
