আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর,বি জানিয়েছে, চলতি মাসের (জুন) প্রথম ৩ সপ্তাহে, আইসিডিডিআর,বি’র ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরির বিভিন্ন শাখায় জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে আসা ১৭১ জন রোগীর মধ্যে ১৪০ জনের দেহে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে। এই শনাক্তের হার প্রায় ৮২ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। আইসিডিডিআর,বি ঢাকাবাসীসহ সবাইকে চিকুনগুনিয়া বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আইসিডিআর,বি জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮৯ জনের পরীক্ষায় ১৪৯ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়, তখন শনাক্তের হার ছিল ৫২ শতাংশ।
চিকুনগুনিয়া কী
চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ—যা জিকা ও ডেঙ্গুর মতো এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণে হঠাৎ করে উচ্চ জ্বর, তীব্র জয়েন্টে ব্যথা এবং ক্লান্তি দেখা দেয়।
প্রতিরোধে যা করবেন
আশপাশে জমে থাকা পানি (যেমন- ফুলদানি, টব, টায়ার, বালতি এ ধরনের পাত্রে) প্রতি ৩ দিনে একবার ফেলে দিন, যেন এইডিস মশা বংশবিস্তার করতে না পারে। অব্যবহৃত পানির পাত্র ঢেকে রাখুন এবং ব্যবহৃত পাত্রগুলো ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন। কারণ, মশার ডিম পাত্রের গায়ে লেগে থাকতে পারে। মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে মশানাশক স্প্রে বা ওষুধ ব্যবহার করুন। ঘরের ভেতরে স্প্রে, কয়েল, জানালায় নেট এবং দিনে-রাতে মশারি ব্যবহার করুন। মশার কামড় এড়াতে হালকা রঙের ফুলহাতা জামা ও লম্বা প্যান্ট পরুন।
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ
হঠাৎ জ্বর, মাথাব্যথা, গিরায়-গিরায় ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, র্যাশ বা ফুসকুড়ি, বমিভাব ও দুর্বলতা। আইসিডিডিআর,বি জানিয়েছে, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও জিকার উপসর্গে মিল থাকতে পারে। ভুল চিকিৎসার ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।