X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

আমাদের শিক্ষার গতি-প্রকৃতি

ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী
০২ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৫২আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৫২

আমাদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। আগেও চিন্তিত ছিলাম, এখনও আছি। ভবিষ্যতে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আরও বেশি চিন্তিত থাকবার দরকার পড়বে। এমন হবার কথা ছিল না, কিন্তু পরিস্থিতিক্রমে তা-ই হলো।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমরা বেশ কয়েকটি শিক্ষানীতি, কমিশন, সুপারিশ, সংশোধন- যে নামেই ডাকুন না কেন – পেয়েছি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত দুটি – ১৯৭২ সালের কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন এবং ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি। প্রথমটিতে স্বাধীন দেশের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনের এবং সামনের দিকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবার একটা প্রত্যয় ছিল। ড. কুদরত-ই-খুদা কমিশনের লেখা প্রতিটি ছত্রে সেই দার্ঢ্য আমরা দেখি, সেই স্বপ্নাতুর আশাবাদ দেখি। কিন্তু এর পরের শিক্ষানীতিগুলোতে কিছুটা যেন বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলবার কথা বেশি এসেছে। যেন আপসের সুর একটু চড়া। হতে পারে এটা আদর্শ থেকে বাস্তবতার পথের সেই স্বর্গচ্যুতির প্রতিফলন। স্বর্গ স্বাপ্নিক, কিন্তু বাস্তব অত্যন্ত মূর্ত। ফলে আদর্শ ও বাস্তবতার, আইডিয়াল ও রিয়ালিটির এই দ্বন্দ্ব শিক্ষানীতিতেও আসবারই কথা। এসেছেও। ফলে আমরা যা চাই তা পাই না – এমনটাই মনে হয়। তবে একটু পেছন ফিরে দেখলে মনে হবে, মূল সমস্যাটা যেন এটা যে আমরা আসলে কী চাই সেটাই স্পষ্ট হয়নি। অথচ স্বাধীনতার পর ৫০ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলো। একুশ শতকে এসে যুগ এত পাল্টাচ্ছে, এত দ্রুত সবকিছু তামাদি হয়ে যাচ্ছে যে প্রকৃতপক্ষে জটিল স্তরবিশিষ্ট কোনও একটি প্রস্তরীভূত শিক্ষানীতি দিয়ে আমাদের আর চলবে না। কিন্তু কী দিয়ে চলবে সেটাও পরিষ্কার করা দরকার।

দরকারটা যে স্পষ্ট নয় সেটা বোঝা যায় দেশে তিন-চার রকমের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন থাকায়। দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি সামাজিক শ্রেণি তাঁদের অবস্থান এবং সুবিধা মতো ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে, বা অনুসরণ করছে। ফলে জাতীয় ব্যবস্থার নামে আমাদের যে দ্রব্যটি আছে সেটা সেই আশির দশকের মালিক সমিতি বাসের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচলিত ব্যবস্থাটিতে কোনও আরাম নেই, বেশ স্পার্টান শিক্ষা-কাঠামো, তাই যে যার মতো এতে গদি এঁটে নিচ্ছেন। কেউ এই বাহনগুলোতেই শীতাতপের ব্যবস্থা করে নিয়েছেন (ইং ভার্শন), আবার কেউ বিলাসবহুল স্ক্যানিয়া বা ভল্ভো গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন (ইং মাধ্যম)। অন্যেরা এই পথেই নেই, তাদের পৃথক বাহন ব্যবস্থা। এমন বহুতর ব্যবস্থার প্রচলনে সমাজে ব্যাপক বৈষম্য আর অন্তর্নিহিত টানাপড়েন, সামাজিক দ্বন্দ্ব ও স্বার্থ-সংঘাত ঘটা স্বাভাবিক। হয়েছেও তা-ই। তবে প্রতিবারই সরকার জাতীয় ব্যবস্থাটাকে পরিমার্জনের ব্যবস্থা করে গাড়িকে সঠিক পথে রাখবার প্রচেষ্টা নেন। কিন্তু সেটা ঠিক কারও মনমতোই হয় না। ফলে যাত্রী-অসন্তোষ অনিবার্য । অথচ অসন্তোষ কমিয়ে সমৃদ্ধির পথই কাম্য ছিল – সরকারেরও, যাত্রী সকলেরও। কিন্তু আখেরে জাতি বঞ্চিতই রইলো। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সাম্প্রতিক প্রবন্ধ (“লেখাপড়ার সুখ-দুঃখ এবং অপমান”, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২০, বিডিনিউজ) সেই অসন্তোষের একটি ক্ষুদ্র অংশ বলে বিবেচনা করা যেতে পারে, শুধু প্রবন্ধটির দ্বন্দ্বমূলক অবস্থানের কারণে নয়, নীতি-নির্ধারণের জায়গা থেকেও কীভাবে অসহায়ত্ব প্রকাশ পায় সেটা দেখেও। তিনি লিখেছেন, “এই কলুষিত পরিবেশের মাঝেও আমাদের কিছু সোনার টুকরো ছেলেমেয়ে থাকবে, যারা এই ক্লেদাক্ত পরিবেশেও খাঁটি মানুষ হয়ে বড় হবে।” শরীর থেকে ক্লেদ কীভাবে মুক্ত করবে আমাদের সন্তানেরা সেটা কোনও শিক্ষানীতিতেই লেখা নেই।

কিন্তু তারপরও কেউ কেউ ক্লেদমুক্ত হয়। কীভাবে হয়? তাঁরা আসলে অন্যভাবে শিক্ষা-সংগ্রামে যুক্ত হয়। সিলেবাসের বাইরের এক অচেনা জগতের সঙ্গে তাদের শিক্ষক, অভিভাবক, মেন্টর ও বন্ধুরা পরিচিত করিয়ে দেয়। যেমন, অলিম্পিয়াডের জগৎ, যেমন বইয়ের জগৎ, যেমন বিতর্কের জগৎ, যেমন দর্শন ও কবিতার জগৎ ইত্যাদি। এগুলো ঘটে নানা সামাজিক সংযোগের সূত্রে। কিন্তু সবার এটি ঘটে না। ফলে সবাই সমানভাবে ক্লেদমুক্ত হতে পারে না। ফলে বৃহত্তর সমাজে ক্লেদ থেকেই যায়। অনেকেই এই ক্লেদ থেকে পুরোপুরি ছেদ ঘটাতে দেশান্তরী হয়, এই আশায় যে বিদেশে ক্লেদ নেই। আর অন্যেরা ক্লেদেই আপস করতে শিখে নেয়। এই নতজানু মনোজাগতিক কাঠামো থেকে আমরা বের হতে পারছি না।

সকল শিক্ষানীতিতেই প্রায় অবধারিতভাবে লেখা ছিল, আমাদের শিক্ষা যুগোপযোগী নয় অথবা আরও যুগোপযোগী করতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে হাতে-কলমে সমাধান-দক্ষতা শিখতে হবে। সমাজের উপযোগী নাগরিক হতে হবে। বৈশ্বিক নাগরিক হতে হবে। সে উপলক্ষে কিছু নির্দেশিকা শিক্ষানীতিতে দেওয়া থাকে। কিন্তু সে অনুযায়ী কারিকুলাম ডিজাইন করতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কিছুটা খামতি রয়ে গেলো। তারপরের ধাপে পাঠ্যবই লিখতে গিয়ে দেখা গেলো, সে বই অন্যরকম লেখা হয়েছে। মূল শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া পাঠ্যবইয়ের ফলাফলে আকাশ-পাতাল তফাত থেকে যাচ্ছে। ধাপগুলোয় সমন্বয়ের অভাব লক্ষ করা যায়। ফলে পাঠ্যবই অপাঠ্য রয়ে যায়। শিক্ষার্থী বিকল্প উপায়ে শেখার চেষ্টা করে, কিংবা শেখার চেষ্টাই করে না। তখন আবার শিক্ষানীতি পরিমার্জন বা সংশোধন করবার কথা ওঠে। কিন্তু, বুঝতেই পারছেন, বগি বিযুক্ত হয়ে গেছে মাঝপথেই। এছাড়াও আছে কার্যকর ব্যবস্থা প্রণয়নে স্বাভাবিক দাফতরিক বিলম্ব।

বর্তমান সরকার আগামী ২০২২ সাল থেকে একটি নবতর শিক্ষা-ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এ কথা আমরা শিক্ষামন্ত্রীর মুখে শুনেছি, পত্রিকায় দেখেছি। কিন্তু ঠিক কী কী পরিবর্তন হবে সেটা ঠিক স্পষ্ট হচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর পর্যন্ত একক ধারায় শিক্ষা হবে – কোনও বিজ্ঞান বা মানবিক বা ব্যবসায় বিভাগ থাকবে না। সবাই একইরকম শিক্ষা গ্রহণ করবে। কিন্তু তাঁরা ঠিক কী কী বিষয় কতখানি শিখবে, সেটা স্পষ্ট হচ্ছে না। বইগুলো কেমন হবে বা কারা লিখবেন, সেটাও প্রশ্ন বটে। কেননা, পাঠ্যবইয়ের অকার্যকারিতা আমরা পূর্বে প্রত্যক্ষ করেছি। উন্নত দেশগুলো (OECD) যে ধরনের মূল্যায়ন পদ্ধতি (PISA) অনুসরণ করে অনেকটা সেই মতোই হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। একুশ শতকে আধুনিক নাগরিকের প্রয়োজন দক্ষতা অর্জন, জ্ঞান অর্জন, এবং তদুপরি সে দক্ষতা ও জ্ঞান পকেটে ফেলে রাখলে চলবে না। সেটা কাজে লাগিয়ে রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কথা শোনা যাচ্ছে দক্ষতার ট্রান্সফরমেশন বা রূপান্তরের। একগুচ্ছ সাধারণ দক্ষতা শেখা হবে, তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী সে দক্ষতা কাজে লাগানো হবে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সে দক্ষতাগুলো শিক্ষার্থী লাগসইভাবে কাজে লাগাবে। জিনিসটা শুনতে মধুর। এমনকি ‘পিসা’ মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রধান নির্বাহী এমন প্রশ্ন রেখেছেন, অবাস্তব শিক্ষা অর্জনে কী দরকার? যেমন ত্রিকোণমিতি জেনে আমার লাভ কী যদি সেটা রান্নাঘরে কাজে না লাগে? রান্নাঘরে রসায়ন বেশি কাজে লাগলেও ত্রিকোণমিতির অসাধারণ যুক্তি ও সূত্রশৃঙ্খল অনুসরণ করে প্রাচীনকালে এরাটস্থেনিস পৃথিবীর পরিধি মেপে ফেলেছিলেন। তার জন্য তাঁকে মহাশূন্যেও যেতে হয়নি, সমুদ্রযাত্রায় বা বিশ্বভ্রমণেও যেতে হয়নি। এটা বাহ্য! কিন্তু কথা হচ্ছে, ইউরোপের আদলে শিক্ষা ঢেলে সাজানো ভালো, কিন্তু বইগুলোও অমন হওয়া চাই। শিক্ষকদেরও অমন উঁচুমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া চাই।

আরও কিছু বিষয় আছে। এই একক স্ট্রিম শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান ও গণিত কতখানি পড়ানো হবে, সেটা আমাদের জানতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা শুরুর একটা স্তর থাকা দরকার। সেই স্তরের নিচে নেমে গেলে, উচ্চমাধ্যমিকে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীকে নাকানি-চোবানি খেতে হবে। প্রকৌশল ও বিজ্ঞান শাখায় যথেষ্ট ব্যুৎপত্তির জন্য মাধ্যমিক স্তরে উচ্চতর গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিদ্যা আলাদাভাবে না শিখে একই পত্রে কীভাবে শিখবে বোঝা মুশকিল। একই কথা উচ্চ মাধ্যমিকেও খাটে। জীবনের যাবতীয় শিক্ষাকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং তৎপরবর্তী স্তরের জন্য ঠেলে দেওয়াটা ভুল হবে। এক্ষেত্রে আমরা ও-লেভেল/এ-লেভেল শিক্ষাক্রম এবং তাঁদের পাঠ্যবইগুলো অনুসরণ করতে পারি। এদের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যবই বিশ্বমানের। আমরা যেন এদের থেকেও পিছিয়ে না পড়ি। হাতে-কলমে জীবিকাধর্মী শিক্ষার কথা বলে আমরা যেন আমাদের শিক্ষার মজবুতি হারিয়ে না ফেলি, অ্যানালিটিক্যাল ও থিওরির দক্ষতা হারিয়ে না ফেলি। আমাদের যেকোনও কিছু পরিমাপ এবং হাতে-কলমে পরখ করে দেখার প্রবণতা বাড়াতে হবে সত্য। তবে একই সঙ্গে গাণিতিক দার্ঢ্যেরও প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থী যদি পিথাগোরাসের উপপাদ্য ভুলে যায়, সে যদি কবিতা পড়ে আনন্দ পাবার কথা ভুলে যায়, সে যদি পিঁপড়ার একরোখা পতঙ্গজীবন দেখে কৌতূহলী হতে ভুলে যায়, তাহলে সেলফোন-বিশেষজ্ঞ যন্ত্রগণক আমার কী কাজে লাগবে? আমরা যেন আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের থেকে গণিতবিদ, রসায়নবিদ, প্রকৌশলী এবং চিকিৎসকও পাই, শুধু কম্পিউটার অপারেটর বা মেকানিক নয়। অপারেটর বা মেকানিক চটজলদি কাজ খুঁজে নিতে পারবেন সত্য, কিন্তু গণিত জানা বা দর্শন বা সাহিত্য জানা মানুষেরও দরকার আছে। জাতীয় বিকাশে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, তেমনটি না হলে, অর্থাৎ অভিভাবক যদি দেখেন তার সন্তান পিছিয়ে পড়ছে, কিংবা এই সম্ভাবনা যে হয়তো পিছিয়ে থাকবে, তাহলেই কিন্তু জাতীয় কারিকুলাম অগ্রাহ্য করে অধিকতর উন্নত বিদেশি শিক্ষাক্রমে আমাদের অভিভাবকরা আগ্রহী হয়ে পড়বেন। ফলে হেডোনিজমই তখন আমাদের ভবিতব্য হবে।

লেখক: অধ্যাপক, তড়িৎ কৌশল বিভাগ, এবং পরিচালক, শক্তি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

/এসএএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
স্টেম-শিক্ষা: একটি জীবনব্যাপী শিক্ষা কার্যক্রম
বিজ্ঞান সাক্ষরতা
ভিশন ২০৫০: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত
সর্বশেষ খবর
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়