X
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
৫ আষাঢ় ১৪৩২

পর্যটকদের জন্য আবারও খুললো চীনের মহাপ্রাচীর

জার্নি ডেস্ক
২৪ মার্চ ২০২০, ১৮:৫৩আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২০, ১৯:৫৬

চীনের গ্রেট ওয়াল চীনের মহাপ্রাচীর তথা গ্রেট ওয়ালের একটি অংশ পর্যটকদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হলো। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) অনেককে বেড়াতে দেখা গেছে এই জায়গায়।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে উতরে ওঠা চীনে ধীরে ধীরে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এর ধারাবাহিকতায় গ্রেট ওয়ালের ব্যাডালিং অংশ উন্মুক্ত করা হলো। বেইজিয়ের উত্তর-পূর্বে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এটি।

চীনের মহাপ্রাচীরে পর্যটকদের সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশ ব্যাডালিং। এর দেয়াল ২৬ ফুট উঁচু ও ১৬ ফুট প্রশস্ত। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক ভ্রমণপ্রেমী এখানে ঘুরতে আসেন। তবে আপাতত আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ দর্শনার্থীকে মহাপ্রাচীরে বেড়ানোর সুযোগ দেবে চীন সরকার।


প্রবেশপত্র পেতে অবশ্যই চীনের উইচ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাডালিং গ্রেট ওয়ালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রথমে টিকিট বুকিং দিতে হবে। এরপর পর্যটকরা প্রাচীরের ফটকে এলে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করবে কর্তৃপক্ষ। তাই নিবন্ধিত হেলথ কিউআর কোড থাকা চাই প্রত্যেকের। এতে আলিপে অথবা উইচ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আইডি কার্ড সংযুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে সবুজ আলো জ্বললে বোঝা যায় দর্শনার্থী সুস্থ।

এছাড়া সবাইকে মাস্ক পরার পাশাপাশি সবসময় একে অপরের কাছ থেকে এক মিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা অবধি খোলা থাকবে গ্রেট ওয়াল অব ব্যাডালিং।

অফ-পিক মৌসুমে প্রতিটি প্রবেশপত্রের মূল্য থাকে ৫ ডলার। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত এই দামে টিকিট বিক্রি করা হবে। ১ এপ্রিল থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত তা বেড়ে হবে ৫ দশমিক ৬৫ ডলার। মেডিক্যাল কর্মী ও সামরিক সদস্যরা বিনামূল্যে প্রবেশপত্র পাবেন। তবে তাদের একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

এদিকে গ্রেট ওয়ালের অন্যান্য অংশ বন্ধ থাকবে। এছাড়া ব্যাডালিংয়ে ক্যাবল কার ও চায়না গ্রেট ওয়াল মিউজিয়াম আপাতত খুলছে না।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত গ্রেট ওয়ালে প্রতিবছর ১ কোটি মানুষ বেড়াতে আসে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে এটি বন্ধ ছিল। 

বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম চীনের গ্রেট ওয়াল। এর মোট দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার। চীনের উত্তর সীমান্তকে মঙ্গোলীয়দের হাত থেকে রক্ষার জন্য খ্রিস্টপূর্ব ২২০-২০৬ সনে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অনেকের ধারণা, ১০ লাখ শ্রমিক এতে কাজ করেছিল। তাদের মধ্যে ৩ লাখ শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। মিং যুগেও এই প্রাচীরের অনেকাংশ নির্মাণ হয়।

সূত্র: সিএনএন ট্রাভেল

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাকা চুলে মেহেদি ব্যবহার করবেন যেভাবে
পাকা চুলে মেহেদি ব্যবহার করবেন যেভাবে
তাজনূভা জাবীন মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডার শিকার: এনসিপি
তাজনূভা জাবীন মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডার শিকার: এনসিপি
সপ্তম দিনে গড়ালো ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
সপ্তম দিনে গড়ালো ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
৪৯৫ রানে শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
৪৯৫ রানে শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
সর্বাধিক পঠিত
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে হট্টগোল
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে হট্টগোল
আরও একমাসের ছুটিতে ২ বিচারপতি
আরও একমাসের ছুটিতে ২ বিচারপতি
স্ত্রীর মামলায় কারাগারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
স্ত্রীর মামলায় কারাগারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে রাশিয়ার লাভ-লোকসানের সমীকরণ
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে রাশিয়ার লাভ-লোকসানের সমীকরণ
আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা: ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন
আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা: ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন