X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বছরে এক মাস দেখা যায় এই গ্রাম!

জার্নি ডেস্ক
২১ জুন ২০১৯, ১৮:০০আপডেট : ২১ জুন ২০১৯, ১৮:১৭

গোয়ায় সালাউলিম নদীর তীরে জলাধার ভারতের গোয়ায় দারুণ একটি জায়গা আছে। মজার বিষয় হলো, প্রতি বছর মাত্র এক মাসের জন্য এর দেখা মেলে। অনেকটা জাদুর মতো ব্যাপার! আদতে বাকি ১১ মাস এটি পানির নিচে ডুবে থাকে।

গ্রামটির নাম কুর্দি। এর মূল বাসিন্দারা এখন অন্যত্র স্থায়ীভাবে থাকেন। বছরের ১১ মাস পর পানি সরে গেলে এক মাসের জন্য পুরনো ঠিকানায় একত্র হয়ে আনন্দ-উৎসব করেন তারা। পাশাপাশি নিজেদের হারিয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ঘুরে দেখে স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান।

শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে দূরে গোয়ার পশ্চিম ঘাটে নয়নাভিরাম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই ছোট্ট সুন্দর পল্লী। গোয়ার বৃহত্তম নদী জুয়ারির শাখা নদী সালাউলিমের কলকল প্রবাহ সরে গেলে গ্রামটি জেগে ওঠে।

একসময় গোয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি ছিল সমৃদ্ধ গ্রাম। গত কয়েক দশক ধরে ১১ মাসের জন্য এটি জাদুর মতো মিলিয়ে যায়! প্রতি বছরের মে মাসে ফের এই গ্রাম দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।

স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী, ১৯৮৬ সালে কুর্দির অস্তিত্ব প্রথমবার অদৃশ্য হয়। সেই সময় সালাউলিম নদীর তীরে একটি জলাধার তৈরি করা হয়। এ কারণে গ্রামটি পানিতে ডুবে যায়। এখন মে মাসে পানি নেমে গেলে এই জায়গা জাদুকরিভাবে দৃশ্যমান হয়। তখন মাইলের পর মাইল ফাটল ভূমি, গাছের গুঁড়ি আর ঘরবাড়ি, স্থাপত্য ও ধর্মীয় স্থাপনার ক্ষয়ে যাওয়া অবশিষ্টাংশ বিক্ষিপ্তভাবে দেখা যায়।

প্রতি বছরের মে মাসে এমন দৃশ্যমান হয়ে ওঠে কুর্দি গ্রাম প্রাথমিকভাবে কুর্দি গ্রামের জমি ছিল উর্বর। সেখানে বিভিন্ন ধর্মের তিন হাজার বাসিন্দা বসবাস করতো। তারা ধান চাষ করতেন। এছাড়া কাজুবাদাম, কাঁঠাল, নারকেল ও আম গাছে পরিপূর্ণ ছিল তাদের দৈনন্দিন জীবন। গ্রামে ছিল কয়েকটি মন্দির, একটি মসজিদ ও খ্রিষ্টানদের একটি প্রার্থনাগৃহ।

পর্তুগিজ শাসন থেকে ১৯৬১ সালে গোয়া স্বাধীন হওয়ার পর দৃশ্যপট বদলাতে থাকে। রাজ্যটির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী দয়ানন্দ বন্দোড়কার কুর্দি গ্রাম পরিদর্শন করে জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান। এতে গোয়ার দক্ষিণাঞ্চল পুরোটাই উপকৃত হয়েছে। এ কারণে স্থানীয় ৬০০ পরিবার নিকটবর্তী ভাদেমি ও ভালকিনিম গ্রামে স্থানান্তরিত হয়। তারা জমি আর ক্ষতিপূরণ পেলেও ১৫ কিলোমিটার দূরে স্থানান্তর হওয়া গ্রাম দুটিতে তেমন কিছুই ছিল না।

গোয়া সরকার সালাউলিম সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে সেচ, পানীয় জল ও শিল্প-কারখানার কাজে প্রতিদিন ৪০০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহের পরিকল্পনা করে। কিন্তু কুর্দি গ্রামের বাসিন্দারা যেখানে স্থানান্তর হয়েছেন সেখানে এই পানি পৌঁছায়নি। তাই সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য আলাদা পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়।

সূত্র: বিবিসি

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিকরাও অংশীদার হবে: এমপি কামাল
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিকরাও অংশীদার হবে: এমপি কামাল
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!