X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন: মাদক পরীক্ষার ফল বদলায় টাকায়

এমরান হোসাইন শেখ
১৮ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৩৫আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৬, ০২:৩৯

মাদক পরীক্ষার প্রতীকী ছবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক মাদকদ্রব্য পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানোর পর, মাদক ব্যবসায়ীদের টাকার জোরে মাদক পরীক্ষার ফল পাল্টে যায় বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় উপকমিটির প্রতিবেদন জানানো হয়েছে।
কমিটি তার প্রতিবেদনে পরীক্ষাগারে যাওয়ার পর মাদক যাতে নির্দোষ না হতে পারে, সে জন্য একই মাদক একই সময়ে একাধিক গবেষণাগারে পরীক্ষার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং চাকরিতে নিয়োগের আগে প্রার্থীর ডোপ টেস্ট করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপকমিটির প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এর আগে মাদক বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং ফরিদুল হক খান ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে সদস্য করে উপকমিটি গঠন করা হয়।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর ওমর ফারুক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিদ্যমান মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু ফাঁক আছে। এই ফাঁক গলে অপরাধীরা বেরিয়ে যায়। এরা যাতে বেরুতে না পারে, সেজন্য আইন সংশোধন করতে হবে।

উপকমিটির সদস্য ফরিদুল হক খান মাদক আইনের দুর্বলতার কথা তুলে ধরে বলেন, মাদকসহ হাতেনাতে ধরা পড়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আইনের ফাঁকফোকরে বেরিয়ে এসে এসব মাদক ব্যবসায়ীরা বিপুল উৎসাহে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এজন্য আমরা আইনকে আরও কঠোর ও শক্তিশালী করার সুপারিশ করেছি।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী অপরাধীর অপরাধ জামিনযোগ্য। কমিটি কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন অযোগ্য ধারা যোগ করে আইনটি সংশোধন করতে বলেছে। এ ছাড়া ইয়াবার মতো নতুন উদ্ভাবিত মাদকের তালিকা তৈরি করে অপব্যবহারকারীদের সাজার জন্য বিশেষ বিধান করতে বলা হয়েছে। কমিটির মতে, এ ধরনের বিধান থাকলে আদালত নতুন উদ্ভাবিত মাদক সম্পর্কিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারবে। 

কমিটির মতে, মাদক বহনকারী ধরা পড়ার পর তাৎক্ষণিক বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা নেই। এ জন্য পৃথক আদালত করা যেতে পারে। একই সঙ্গে মাদকপ্রবণ এলাকা বা মাদকপ্রবণ সীমান্তে মাদক পাচারকারীদের বিচারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত স্থাপন করা হলে মাদকের ব্যবহার অনেকাংশে হ্রাস পাবে। 

বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত মাদকের মধ্যে ইয়াবা মিয়ানমার এবং ফেনসিডিল ভারতে তৈরি হয় বলে প্রতিবেদন বলা হয়েছে। মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ও সীমান্ত ঘেঁষে পাকা সড়ক করে বিজিবির টহল জোরদার করার কথাও বলা হয়েছে।

কমিটি এ ক্ষেত্রে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী বিজিএফের সঙ্গে বিজিবির কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বলেছে। তাদের মতে, কূটনৈতিক সুসম্পর্ক থাকলে মিয়ানমার ও ভারতে মাদকের উৎপাদনস্থল ধ্বংস করা সম্ভব হবে। 

কমিটির সভাপতি টিপু মুন্শির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মোজম্মেল হোসেন, শামসুল হক টুকু, ওমর ফারুক চৌধুরী, ফরিদুল হক খান, আবুল কালাম আজাদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও ফখরুল ইমাম উপস্থিত ছিলেন।

/এইচকে/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এলপিএলের ড্রাফটে চার বাংলাদেশি
এলপিএলের ড্রাফটে চার বাংলাদেশি
মাদ্রাসা ক্যাম্পাস সবুজায়নের নির্দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহমাদ্রাসা ক্যাম্পাস সবুজায়নের নির্দেশ
যুবদল সভাপতি কারাগারে, রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল
যুবদল সভাপতি কারাগারে, রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল
ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে ১২ দলীয় জোট
ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে ১২ দলীয় জোট
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ