X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী: পরবর্তী আপিল শুনানি সোমবার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ মে ২০১৭, ১৯:৩৬আপডেট : ২৮ মে ২০১৭, ১৯:৪৪

 

সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংক্রান্ত সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। রবিবার ৮ম কার্যদিবসের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানি সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির এই তারিখ নির্ধারণ করেন।  

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণ ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে দিয়ে করা সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণ করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এ আপিল করে। এ মামলার শুনানিতে আদালতকে আইনি সহায়তা করতে সুপ্রিম কোর্টের ১২জন সিনিয়র আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

শুনানি শেষে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদের মাধ্যমে বিচারকের অপসারণ পদ্ধতি বিশ্বের যেসব দেশের রয়েছে, সেখানে নানা ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এটি সফল হয়নি। আমাদের আশেপাশের যেসব দেশ রয়েছে, বিশেষ করে ভারত-শ্রীলঙ্কা-মালয়েশিয়ায় এটি সফল হয়নি। এসব দেশের দৃষ্টান্ত আমি আদালতে তুলে ধরেছি।’  তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি বিরোধ নিয়ে যেসব মামলা হয়, সেগুলোর শুনানি ও নিষ্পত্তি হয় হাইকোর্টে। এসব মামলার নিষ্পত্তি করেন বিচারকরা। এখন বিচারকদের অপসারণের বিষয়টি যদি সংসদের হাতে থাকে, তাহলে ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং বৈপরিত্য সৃষ্টি হবে। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার যে ভূমিকা, তারা তিনটি সামরিক শাসনের কবল থেকে আমাদের বাঁচিয়েছেন সংবিধানকে রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করেছেন। ইয়াজউদ্দিন ও ফখরুদ্দিন যে অসাংবিধানিক সরকার গঠন করেছিলেন, সেখান থেকে ফিরে আসতে হাইকোর্টের বিচারপতিদের ভূমিকা রয়েছে। ওই সরকার হাইকোর্টকে জামিন না দিতে জরুরি ক্ষমতা বিধিমালা জারি করে। তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক (সুলতানা কামাল, নুরুল কবির ও মুনতাসির মামুন) ওই বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। আমি তাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করি। হাইকোর্ট ওই বিধিমালা বাতিল ঘোষণা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন।’

অ্যাডভোকেট এম আই ফারুকী বলেন, ‘৫ম সংশোধনী বাতিলের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সামরিক শাসনামলে জারি করা সকল ফরমান বাতিল করলেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল ব্যবস্থাকে রেখে দিয়েছেন। এরপর সরকার ১৫তম সংশোধনীতেও এ ব্যবস্থা রেখে দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী করেছে সরকার। কিন্তু এই ১৬তম সংশোধনী স্বাধীন বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর লঙ্ঘন।’ তিনি বলেন, ‘বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত হতে হবে বিচারকদের দিয়েই, রাজনীতিবিদদের দিয়ে নয়।’

/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শীর্ষ ঋণখেলাপি লস্করের সম্পত্তি ওসির জিম্মায় দিলেন আদালত
শীর্ষ ঋণখেলাপি লস্করের সম্পত্তি ওসির জিম্মায় দিলেন আদালত
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেও হিন্দুত্ববাদে ভরসা মোদির?
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেও হিন্দুত্ববাদে ভরসা মোদির?
প্রথম ধাপের প্রার্থীদের ৫৬ শতাংশই ব্যবসায়ী: টিআইবি
উপজেলা নির্বাচনপ্রথম ধাপের প্রার্থীদের ৫৬ শতাংশই ব্যবসায়ী: টিআইবি
বিজেপি ও তৃণমূলের মাথাব্যথা এখন কম ভোটার উপস্থিতি
লোকসভা নির্বাচনবিজেপি ও তৃণমূলের মাথাব্যথা এখন কম ভোটার উপস্থিতি
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র