X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

১ মাস পর মা পেলো জর্ডান থেকে ফেরা শিশু ফাতেমা

উদিসা ইসলাম ও সানাউল ইসলাম টিপু
১৬ আগস্ট ২০১৭, ২১:৩৪আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৭, ০৮:২৫

শিশু ফাতেমা রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেলে চলে যাওয়া অবুঝ শিশু ফাতেমার ‘বৈধ অভিভাবকত্ব’ পেলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রে কর্মরত অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার। তিনি চান, আদালতের দেওয়া নাম ‘ফাতেমা’ নিয়েই শিশুটি বেড়ে উঠুক। বাংলা ট্রিবিউনের কাছে নিজের এই ইচ্ছার কথা জানান এই আইনজীবী।
অনেক আবেদনকারীর মধ্যে অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তারকে অভিভাবকত্ব দিয়েছেন আদালত। আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে ফাতেমাকে বাসায় নিয়ে যেতে এবং সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এসব বিষয় নির্ধারণ করেন। 
গত ৮ জুলাই জর্ডান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন জয়দেবপুরের গৃহকর্মী স্বপ্না বেগম। একই বিমানে শিশুটিকে (আদালত নাম দেন ফাতেমা) নিয়ে তার মা-ও ফিরেছেন। বিমানে তাদের পরিচয় হয়। পরে বিমানবন্দরের ক্যানওপি পার্কিং এলাকায় স্বজনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন স্বপ্না। পার্কিং এলাকায় ওই নারী তার কাছে শিশুটিকে রেখে ভেতর থেকে মালামাল নিতে যাওয়ার কথা বলে যান। কিন্তু পরে আর ফেরেননি। 
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের কাছে স্বপ্না এ ঘটনার বিবরণ দেন। এরপর তাদের পাঠানো হয় বিমানবন্দর থানায়। ওইদিনই সেখানে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর থেকে শিশুটি তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আছে। সেখানে একমাস কাটানোর পর অভিভাবক পেলো ফাতেমা।

গত ২৫ জুলাই ফাতেমার প্রকৃত বাবা-মাকে ৯ আগস্টের মধ্যে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। পাশাপাশি মা-বাবাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে শিশুটিকে নিতে আগ্রহী কাউকে নির্বাচন করে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি। পরবর্তীতে ১০ দম্পতি শিশুটিকে নিতে আদালতে আবেদন করেন। তাদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আইনজীবী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানা যায়।

গত ৯ আগস্ট শিশু ফাতেমার প্রকৃত বাবা-মাকে খুঁজে পায়নি উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ। প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, ‘বিমানবন্দরের ওইদিনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেও শিশুটির প্রকৃত বাবা-মা শনাক্ত সম্ভব হয়নি। এছাড়া শিশুটি হারিয়ে গেছে মর্মে বিমানবন্দর থানায় কেউ সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেনি।’

এদিকে অ্যাডভোকেট সেলিনার ১০ বছরের সংসার জীবনে সন্তান না থাকার শূন্যতা পূরণ হচ্ছে ফাতেমাকে পেয়ে। তাই এই মানবাধিকারকর্মী এখন উচ্ছ্বসিত। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমরা একজন শিশুর জন্য কম অপেক্ষা করিনি। ফাতেমা আমাদের মনোবাসনা পূর্ণ করেছে। ’

এবারের ঈদ ফাতেমাকে আনন্দে উদযাপনের আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালত আজ (বুধবার) আমাদের অভিভাবকত্ব দেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কাগজ চেয়েছেন। সেগুলো দিলে আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে ফাতেমাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবো বলে আশা করছি। আমি, আমার স্বামী ও পরিবারের সবাই অপেক্ষা করছি সেই সময়ের জন্য।’

/এসআইটি/জেএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
একদিন পর আবার বাড়লো সোনার দাম
একদিন পর আবার বাড়লো সোনার দাম
ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না: আইনমন্ত্রী
ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না: আইনমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জ ও বান্দরবানের আলীকদমে দুদকের অভিযান
কিশোরগঞ্জ ও বান্দরবানের আলীকদমে দুদকের অভিযান
জামায়াত-শিবিরের সামাজিক আন্দোলনের ফাঁদে দেশ
জামায়াত-শিবিরের সামাজিক আন্দোলনের ফাঁদে দেশ
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?