X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ হলো ‘গুপ্তধন’ খোঁজা, মেলেনি কিছুই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৭:০৫আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৪৯

গুপ্তধনের সন্ধানে মেঝে খোঁড়ার পর মিরপুর-১০ নম্বরের সি ব্লকের বাড়িটিতে কথিত গুপ্তধনের সন্ধানের অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২১ জুলাই (শনিবার) থেকে কথিত বাড়িটির মেঝেতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও গুপ্তধনের সন্ধান না পেয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজওয়ার আকরাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ও বুয়েটের এক্সপার্ট এনে ওই বাড়ির ভেতরে জিপিআর স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আমরা এই পরীক্ষাটি করি। কিন্তু সেখানে কোনও ধাতব বা গুপ্তধনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাই অভিযানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো।’ পাশাপাশি ওই বাড়ি থেকে পুলিশের পাহারাও তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আরিফুর রহমান সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মিরপুরের ওই বাড়িতে কোনও গুপ্তধন পাওয়া যায়নি। রেজাল্ট জিরো। তাই প্রশাসনের নির্দেশে সেখান থেকে পুলিশি পাহারা তুলে নেওয়া হয়েছে।’

মিরপুর-১০-এর সি ব্লকের ওই বাড়িতে সরেজমিন দেখা গেছে, বাড়ির সামনে স্তূপ করে রাখা মাটি শ্রমিকরা ভেতরে নিয়ে ফেলছেন। বাড়ির ভেতরের দুটি কক্ষ ভরাট করার কাজ চলছে।

অনুসন্ধান শেষে মেঝে ভরাটের কাজ চলছে

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই (শনিবার) রাজধানীর মিরপুর-১০-এর সি-ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাড়িতে গুপ্তধনের খোঁজে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। বাড়িটির মাটির নিচে কমপক্ষে দুই মণ স্বর্ণালঙ্কার থাকার দাবি ওঠায় ওই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে শুরু হয় এই অভিযান। ২০ জন শ্রমিকের সহায়তায় ছয় ঘণ্টা ধরে সাড়ে ৪ ফুট খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর দুর্বল হওয়ায় ওইদিন খোঁড়াখুঁড়ি স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর পুনরায় ২২ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

এর আগে, গত ১০ জুলাই মোহাম্মদ আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ১২ জুলাই রাতে কয়েকজন লোক বাড়ির ভেতরে গুপ্তধন আছে বলে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। এই মর্মে ১৪ জুলাই বাড়ির মালিক মনিরুল ইসলাম থানায় একটি জিডি করেন। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বাড়িটিতে খননের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

মেঝে ভরাটের কাজ করছেন শ্রমিকরা

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সেলিম রেজা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই বাড়িটি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কেনেন মনিরুল ইসলাম। মিরপুরের পল্লবীতে থাকেন তিনি। আর এই বাড়ি দেখাশোনা করেন শফিকুল ইসলাম ও সুমন নামে দুজন। শফিকুল ইসলাম ছিলেন বাড়ির কেয়ারটেকার। বাড়ির ভেতরে রয়েছে সাতটি কক্ষ। একটিতে শফিকুল ও সুমন থাকতেন। বাকিগুলোতে ভাড়াটিয়া ছিলেন। তবে গত ৪/৫ মাস আগে ভবন ভেঙে নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরুর কথা বলেন সব ভাড়াটিয়াকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন বাড়ির মালিক।

/এসজেএ/এমএনএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘শেখ হাসিনা কেবল দেশের উন্নয়ন করেননি, জাতিকে কলঙ্কমুক্তও করেছেন’
‘শেখ হাসিনা কেবল দেশের উন্নয়ন করেননি, জাতিকে কলঙ্কমুক্তও করেছেন’
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত বেড়ে প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত বেড়ে প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার
যাত্রাবাড়ীতে চাঁদা আদায়ের সময় গ্রেফতার ১৫
যাত্রাবাড়ীতে চাঁদা আদায়ের সময় গ্রেফতার ১৫
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে