X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

যাবজ্জীবন মানেই ৩০ বছরের কারাদণ্ড, ক্ষেত্রবিশেষে আমৃত্যু কারাবাস

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০১আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৭

হাইকোর্ট



আদালতের রায়ে আমৃত্যু উল্লেখ না থাকলে যাবজ্জীবন সাজা মানে ৩০ বছরের কারাবাস হবে বলে রায় ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ে আদালত বলেন, প্রাথমিকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বলতে বুঝায়, দণ্ডিত ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পুরো সময় কারাবাস। যদি দণ্ডবিধির ৪৫ ও ৫৩ ধারার সঙ্গে ৫৫ ও ৫৭ ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ একসঙ্গে পড়া হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বলতে ৩০ বছর কারাদণ্ড বোঝায়। তবে যদি কোনও আদালত, ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ এর বিধানটি (৩০ বছরের কারাদণ্ড) এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

এ সংক্রান্ত আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউয়ের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মুহাম্মদ মনির। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘রায়ে আপিল বিভাগ বলেছে, যাবজ্জীবন বলতে একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যতদিন ততদিন কারাদণ্ড হবে। কিন্তু আইনের বিধান অনুযায়ী একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে কমপক্ষে ৩০ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আসামি আইনের অন্যান্য রেয়াত পাবে, যদি না আদালত বিশেষভাবে আদেশ দেন যে তাকে আমৃত্যু জেলে থাকতে হবে।’

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাভারের এক হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের ৯২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ বলে মন্তব্য করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এরপর ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জামান ইয়াসিনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যার ঘটনায় জামানের বাবা সিরাজুল ইসলাম সাভার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ওই মামলার তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামি আতাউর ও আনোয়ার। পলাতক থাকায় আপিল করার সুযোগ পাননি কামরুল। একই সঙ্গে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আপিল খারিজ করে দিয়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আতাউর ও আনোয়ার। আপিলে ফাঁসির দণ্ড মওকুফ চাওয়া হয়। সোমবার শুনানি শেষে আসামিদের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা দেন।

/বিআই/এসটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১৩৯ উপজেলায় ভোট বুধবার, কেন্দ্রে গেলো সরঞ্জাম
১৩৯ উপজেলায় ভোট বুধবার, কেন্দ্রে গেলো সরঞ্জাম
‘প্রমাণ-অপ্রমাণের যাত্রা সুদীর্ঘ, সেখানে জড়িয়ে আছে হাহাকার’
বিচারপ্রার্থীদের প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি‘প্রমাণ-অপ্রমাণের যাত্রা সুদীর্ঘ, সেখানে জড়িয়ে আছে হাহাকার’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
নিলামে উঠছে ম্যারাডোনার গোল্ডেন বল
নিলামে উঠছে ম্যারাডোনার গোল্ডেন বল
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট