X
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রসূতির মৃত্যু: জাফরুল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ মার্চ ২০২১, ১৬:৪৭আপডেট : ০১ মার্চ ২০২১, ১৬:৪৭

অবহেলাজনিত কারণে এক প্রসূতির  মৃত্যুতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১ মার্চ ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার পরবর্তী এই তারিখ ধার্য করেন।

এ দিন মামলাটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আদালত  নতুন তারিখ ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—  গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, শংকরী রানী সরকার (সেবিকা) ও  ডা. দেলোয়ার হোসেন। এ ছাড়া গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তারা ভালো সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনাকালীন সময়ে স্বামী সবুজ বারবার শংকরী রাণীকে জানালেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ইন্টার্নি চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনও ডাক্তার আসেননি। ভিকটিম স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেননি। শংকরী রাণী স্যালাইন ও ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই ভিকটিমকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ভিকটিম একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। রোগীর মৃত্যুর পেছনে তাদের কিছু অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে বাদীপক্ষকে পাত্তা দেয়নি।আসামিরা এস এ আলম সবুজের  জানান, বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে না, পারলে মামলা করেন।

 

 

 

/এমএইচজে/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘দরিদ্ররা সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ২০ শতাংশও ভোগ করতে পারে না’
‘দরিদ্ররা সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ২০ শতাংশও ভোগ করতে পারে না’
রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান ‘শনাক্ত’, সুসংবাদের প্রত্যাশা
রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান ‘শনাক্ত’, সুসংবাদের প্রত্যাশা
হজ পালন করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু
হজ পালন করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে অনিশ্চয়তা ছড়াচ্ছে ইরানে
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে অনিশ্চয়তা ছড়াচ্ছে ইরানে
সর্বাধিক পঠিত
শনিবার ক্লাস চলবে ডাবল শিফটের স্কুলে
শনিবার ক্লাস চলবে ডাবল শিফটের স্কুলে
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
আগামী ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ
আগামী ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ