X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

অতিরিক্ত রাগ নষ্ট করতে পারে সম্পর্ক

নাদিয়া নাহরিন
১৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:০৬আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:১৭
image

চলার পথে আমরা যতই যুক্তি মেনে চলি না কেন, প্রায়শই আমরা আবার আবেগতাড়িতও হয়ে পড়ি। আনন্দ, বেদনা, ক্ষোভ কিংবা রাগ সব মিলিয়ে হাজারও আবেগ কিংবা অনুভূতি আমাদের মধ্যে কাজ করে। এমনকি কখনও কখনও যুক্তির চেয়েও এই আবেগটাই হয়ে যায় প্রধান। কিন্তু সেটা কতটা ইতিবাচক? বিশেষ করে আপনার ক্রোধ কিংবা অল্পতেই রেগে যাবার প্রবণতা? আর সেটা যদি হয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে, তাহলে কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাবটাই বেশি।

অতিরিক্ত রাগ নষ্ট করতে পারে সম্পর্ক
দুজনের বোঝাপড়ায় হতে পারে ঝামেলা
আপনার সঙ্গীকে অবশ্যই আপনার মানসিকতা বুঝতে হবে। কিন্তু সেটা কতক্ষণ? আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত খিটমিট করেন তাহলে সেটা শুধু আপনার সঙ্গীর জন্যই না, বরং আপনার নিজের জন্যও ক্ষতিকর। এতে আপনাদের দুজনের বোঝাপড়ায় বিভেদ তৈরি হবে। আপনি নিজেও রাগের কারণে সঙ্গীকে বোঝাতে ব্যর্থ হবেন। ফলে একটি পর্যায়ে আপনাদের দুজনের মধ্যে আলোচনা বা শেয়ারের যেই বিষয়টি কমে আসবে।
সঙ্গীর প্রতি সৃষ্টি হয় চাপ
সম্পর্কটা আপনাদের দুজনের। তাই অপর পক্ষের কথাও আপনাকে বিবেচনায় রাখতে হবে। আপনি যদি বেশিরভাগ সময়েই খিটমিট করতে থাকেন তাহল এটি আপনার সঙ্গীর জন্যে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি করবে। তাকেও সুযোগ দিতে হবে বলার। নাহলে এক পর্যায়ে দেখা দেবে বিরক্তি এবং হতাশা।
সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি
আপনি যখন অপর পক্ষকে বলার সুযোগ দেবেন না এবং কোনও কিছু চাপিয়ে দেবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই দেখা দেবে দূরত্ব। এই দূরত্বই সম্পর্কে ইতি টানতে পারে। এবং এর ফলে দিন শেষে কষ্ট পাবেন আপনি নিজেই। তাই সময় থাকতেই রেগে যাবার এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
মেনে চলুন কয়েকটি বিষয়

  • কাউকে দোষারোপ করার আগে নিজেকে বুঝুন। সার্বিক পরিবেশ, পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুণ। প্রতিটা মানুষেরই দোষত্রুটি থাকে। নিজের দোষগুলো খুঁজে দেখুন। আর সঙ্গীর দোষগুলো বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। শুধু প্রেমের সম্পর্কেই নয়, যে কারো ক্ষেত্রেই পুরো পরিস্থিতি বুঝে আচরণ করুন।
  • কেন আপনি অল্পতেই রেগে যাচ্ছেন? এর পেছনের কারণগুলো ভেবে দেখেছেন কখনও? অনেক সময় কাজের চাপ, পরিবার সব মিলিয়ে মানসিক চাপ কাজ করে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে রগচটে স্বভাবটি থাকে বংশগত। তাই যেমনটাই হোক, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। সময় দিন নিজেকে। নিজের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
  • যে কথাগুলো একবার বলা হয়ে যায়, তা আপনি চাইলেও আর ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। বিষয়টি মাথায় রেখেই আচরণ করুন। হ্যাঁ, ভুল হলে আপনি ক্ষমা চাইতেই পারেন। কিন্তু তাই বলে বারবার নয়। এর ফলে আপনি নিজেকেই ছোট করছেন।
  • কোনও কারণে চাপ বোধ করলে সরাসরি সঙ্গীকে বলুন। চাইলে কাছের কোন বন্ধুর সঙ্গেও আলোচনা করুন। আপনার কোন বন্ধু বা আত্মীয় কোন আচরণে আহত হলে তার সঙ্গেও আলাপ করতে পারেন। এতে নিজের ভুল বুঝতে পারা সহজ হয়।
  • মানসিক চাপ বা নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে ইয়োগা করুন। পারলে প্রতিদিন কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন শারীরিক ব্যায়ামের জন্যে। সকাল বা সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হতে পারেন। এছাড়াও পছন্দের বই পড়তে পারেন কিংবা রান্না করতে পারেন। রাগের মাত্রাকে কমিয়ে ভালোবাসতে শিখুন।
/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিকরাও অংশীদার হবে: এমপি কামাল
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিকরাও অংশীদার হবে: এমপি কামাল
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!