নানা ধরনের পিঠার গন্ধে ভরপুর এখন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণ। জানুয়ারির ৩১ তারিখ থেকে এখানে শুরু হয়েছে জাতীয় পিঠা উৎসব-১৪৩০।
মেলায় রয়েছে ৫০টি স্টল। পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে যারা পিঠা তৈরি করেন, তারাই আছেন স্টলগুলোতে। এগুলোতে মিলবে পার্বত্য এলাকা থেকে শুরু করে নগরের বিভিন্ন ধরনের আদি পিঠা স্বাদ। রয়েছে মালপোয়া, তালের পিঠা, দুধ পুলি, ভাপা, চিতই, ডিম পিঠা, নকশি পিঠা, মুগ পাকন, পাটিসাপটা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা। এছাড়া বাহারি নামের আরও অনেক পিঠার দেখা পাওয়া যাবে উৎসবে। আদিবাসীদের কলা পাতার পিঠা, কালো বিন্নি চালের পায়েস, চালের ছোট রুটির সাথে পুর সবজি, ছিটা পিঠাসহ নানা ধরনের আদি পিঠা রয়েছে উৎসবে। ঝাল পিঠার পাশাপাশি হাঁসের মাংস ও মুরগির মাংসের সঙ্গে রয়েছে চাপটি খাওয়ার ব্যবস্থা।
উৎসবে রয়েছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও। মঞ্চে পরিবেশিত হচ্ছে লোক নৃত্য, লোকসংগীতানুষ্ঠান, একক ও সমবেত নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, লালনগীতি, একক সংগীত ও দলীয় সংগীত। বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পিঠার এ উৎসব চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।