মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে খাওয়ার পর লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন বেশ প্রাচীন। মুখ সতেজ করার জন্য পাশাপাশি এর কিন্তু আরও অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। বিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখা, কাশি নিরাময় করা, গলা ব্যথা বা মুখের স্বাস্থ্য ঠিক করার মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যাযর সমাধান করে এই মসলা।
- লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। খাবার খাওয়ার পর লবঙ্গ খেলে এর উপকারী বিভিন্ন উপাদান শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে। লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে, দীর্ঘমেয়াদে ত্বক এবং অঙ্গের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
- লবঙ্গ পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে, পাকস্থলীর অ্যাসিডের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। খাওয়ার পরে কয়েকটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং গ্যাস্ট্রিক হওয়ার ঝুঁকি কমে। লবঙ্গের প্রাকৃতিক রাসায়নিক খাদ্যনালীর আস্তরণকে প্রশমিত করে, জ্বালাপোড়া কমায় এবং খাওয়া বেশি হয়ে গেলে আরাম দেয়।
- খাবারের পরে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এই মসলায় ইউজেনল নামক একটি যৌগ রয়েছে যা হজমকারী এনজাইমগুলোকে উদ্দীপিত করে। এটি পাকস্থলীকে খাবার ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করে, বদহজম, পেট ফাঁপা বা গ্যাসের ঝুঁকি কমায়। এটি বমি বমি ভাব নিরাময় করতে পারে।
- লবঙ্গে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে যা মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলোই সাধারণত মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। খাবারের পর কয়েকটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে নিঃশ্বাস প্রাকৃতিকভাবে তাজা হবে। দীর্ঘস্থায়ী মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও অতুলনীয় লবঙ্গ।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি মুখের সুস্থতার জন্যও অসাধারণ লবঙ্গ। এর অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক গুণ মাড়ির রোগ, দাঁতের ক্ষয় এবং সংক্রমণ দূর করে। লবঙ্গ দাঁতের ব্যথাও উপশম করে।
- লবঙ্গ চিবানোর ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, কারণ এতে থাকা ইউজেনল একটি প্রদাহ-বিরোধী পদার্থ। রক্ত সঞ্চালন উন্নত হলে পুরো শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ হয়, যা সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া