মাথাব্যথার সমস্যা হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেক সময় কাজের চাপ বা স্ট্রেসে মাথা ব্যথা করে। কখনও আবার মাইগ্রেনের সমস্যা কাবু করে ফেলে আমাদের। মাথাব্যথার অস্বস্তি দূর করতে ওষুধ খাওয়ার আগে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
- ডিহাইড্রেশন তীব্র মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি খান। পানিশূন্যতা দূর করে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে এবং মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে পানি ও পানিজাতীয় খাবার।
- স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং পেশী শিথিলকরণ নিয়ন্ত্রণে ম্যাগনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ঘাটতি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। মাথাব্যথা হলে খাদ্য তালিকায় আরও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যোগ করার চেষ্টা করুন। পাতাযুক্ত শাকসবজি, বাদাম এবং বীজে ম্যাগনেসিয়াম মেলে।
- কোল্ড কম্প্রেস কার্যকর প্রতিকার হতে পারে। কপালে বা ঘাড়ের পিছনে ঠান্ডা প্যাক লাগান। ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে এটি। যদি স্ট্রেস থেকে বা মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা হয় তবে ঠান্ডা অনুভূতি আরাম দেয়।
- মাথাব্যথা উপশমে সামান্য পরিমাণে ক্যাফেইন বেশ ভালো কাজ করে। এক কাপ কফি বা চা খেলে প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া যায় এবং মাথাব্যথা থেকে মুক্তি মেলে। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করবেন না। এটি উল্টো মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- কাজের চাপে দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি? অপর্যাপ্ত খাবার হতে পারে মাথাব্যথার কারণ। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় এবং মাথাব্যথা করে। শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সারাদিন নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণ করা ভীষণ জরুরি। মাথাব্যথা করলে এক মুঠো বাদাম বা ফলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিন।
- হেড ম্যাসাজ নিতে পারেন। মাথার তালু, ঘাড় এবং কাঁধে আলতো করে ম্যাসাজ করলে মাথাব্যথার চাপ কমে। ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি করে, যা পেশীর টান কমায়।
- ঘুমের অভাব মাথাব্যথার একটি প্রধান কারণ। যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পান, তাহলে শরীর চাপ এবং উত্তেজনার প্রতি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। মাথাব্যথা দূর করতে ৭-৮ ঘন্টা টানা ঘুমান।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া