দেশের বর্তমান অবস্থার কারণে এখনই হচ্ছে না বিশেষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ‘গরবিনী মা।’ বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (প্রাক্তন- আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) প্রতিবারই আয়োজন করে এই অনুষ্ঠানের। এবার ছিল এর সপ্তম আয়োজন।
পরিস্থিতির জন্য অনুষ্ঠানটি এখন বর্ণাঢ্যভাবে আয়োজন করার পরিবর্তে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরপরই অনুষ্ঠানটির আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ উপলক্ষে আজ (১০ মে) ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আগত বিভিন্ন মিডিয়ার উপস্থিতিতে সম্মাননাপ্রাপ্ত ১০জন গরবিনী মায়ের নাম ও ছবি প্রকাশিত হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সমাজের স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ১০ জন নাগরিকের গরবিনী মায়ের নাম ঘোষণা করেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী। তারা হলেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজার মা বেগম রৌশন আক্তার বানু, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলামের মা মাসুফিয়া বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইসিবি'র চেয়ারম্যান অধ্যাপক মজিব উদ্দিন আহমদের মা লুৎফা আহমদ, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক, নিউজ ২৪ এবং ক্যাপিটাল এফএম এর সিইও নঈম নিজামের মা ফাতেমা বেগম, মা ও শিশু স্বাস্থ্য (সার্ভিসেস) এর পরিচালক ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মোহাম্মদ শরীফের মা খোজেস্তা আক্তার, কন্ঠশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার মা আভা বড়ুয়া, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমার মা সুফিয়া বেগম, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা আরিফিন শুভর মা খাইরুন নাহার, বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলীর মা সাহিদা বেগম এবং অদম্য মেধাবী হাসান সাদ ইফতি (যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রকেট বিজ্ঞানী) এর মা সেলিনা সুলতানা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইভেন্ট পার্টনার ফ্যাক্টর থ্রি সল্যুশন্স এর সিইও সাহেদ হোসেন।
উল্লেখ্য, হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্ত্তী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তীর হাত ধরে ২০১৪ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়ে আসছে। শুরুতে ৫ জন গরবিনী মাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। পরবর্তীতে প্রতি বছর ১০ জন গরবিনী মাকে এই সম্মাননা প্রদানের প্রচলন চালু হয়।