X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

অতৃপ্তই থাকতে চাই : কাজী রোজী 

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : শিহাব শাহরিয়ার
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৫আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৯

[কবি কাজী রোজীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৪৯ সালে সাতক্ষীরায়, মৃত্যু ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ঢাকায়। শৈশব কেটেছে সাতক্ষীরার নানীর বাড়িতে। তারপর আসেন ঢাকা। এখানেই কৈশোর তারুণ্য পেরিয়ে জীবনাবসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালে যোগ দেন সরকারি চাকরিতে। তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়স্থ তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছিলেন। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। কাজী রোজী দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ছিলেন। তার এই সাক্ষাৎকারটি বিটিভিতে প্রচারিত।]


শিহাব শাহরিয়ার : লেখালেখির সঙ্গে জড়ালেন কবে?
কাজী রোজী : সেটা তো একটা গল্পের মতো। সেই ছোট্টবেলার কথা যখন সবেমাত্র ক্লাস সিক্সে পড়ি। তখন থেকেই লেখা ছাপা হতে শুরু করে। গল্পটা এরকম, আমি সেদিন বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে ফিরেছি, বাবা প্রশ্ন করলেন—পানির রং কী—এ প্রশ্নের জবাব কী লিখেছ? আমি বললাম। কেন লিখেছি সাদা। বাবা হাসলেন। বললেন, পানির রং কখনো সাদা হতে পারে? পানির কোনও রঙ নেই। যে পাত্রে রাখা যায়—পানি সে রং-ই ধারণ করে। সেদিন এ বিষয়টি নিয়েই কবিতা লিখে ফেললাম এবং পরে তা ইত্তেফাকের কচিকাঁচার পাতায় ছাপা হল। 


শিহাব শাহরিয়ার :
আপনার ক’টি গ্রন্থ বেরিয়েছে? 
কাজী রোজী : এ পর্যন্ত দু’টি গ্রন্থ বেরিয়েছে—‘পথ ঘাট মানুষের নাম’ ও ‘নষ্ট জোয়ার’সহ আরও একটি গ্রন্থ যন্ত্রস্থ। 


শিহাব শাহরিয়ার :
সেই বইটির নাম কী? 
কাজী রোজী : বইটির নাম এখনও ঠিক করিনি। সময়মতো নাম ধরে ডাকব। 


শিহাব শাহরিয়ার :
এক সময় কবিতা ও রাজনীতি দুটোই করতেন কিন্তু পরবর্তীকালে রাজনীতি ছেড়ে কেবল কবিতাকেই বেছে নিলেন কেন?
কাজী রোজী : কবিতা এবং রাজনীতি তখনই পাশাপাশি চালাতে পেরেছি যখন কোনও বাধা এসে দাঁড়ায়নি। সেই ছাত্রকাল থেকে রাজনীতি করেছি, কবিতা লিখেছি, নাটক লিখেছি, গান লিখেছি, কতো ছেলে মানুষী—কোনও বাধা নেই। কিন্তু তারপর জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে যখন সরকারি চাকরিতে যোগ দেই তখন থেকে রাজনীতি ছাড়তে হয়েছে। কারণ সরকারি কাজ এবং রাজনীতি একসাথে করা যায় না। তবে কবিতা লেখা যায়। কবিতার সঙ্গে রাজনীতির কোনও বিরোধ নেই।
 

শিহাব শাহরিয়ার :
আপনি রাজনীতি করতেন এখনও কি সে আদর্শে বিশ্বাসী আছেন? 
কাজী রোজী : হ্যাঁ। ছাত্রজীবনের সেই রাজনৈতিক আদর্শ ও বিশ্বাস বুকে বেঁধে নিয়েই আজও আমি আগামীর দিকে এগোচ্ছি। হ্যাঁ, বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মনে একটা রাজনৈতিক সমর্থন তৈরি থাকে। আমারও সেটা আছে। 


শিহাব শাহরিয়ার :
কবিতা লেখার সময় অস্বস্তিবোধ করেন কী? 
কাজী রোজী : প্রশ্নই ওঠে না। কবিতাই স্বস্তি আনে। কবিতা যখন লিখি তখন মনের প্রান্তসীমায় কত যে অজানা পাখির মতো কিচিরমিচির শব্দের ভিড় জমে মনটা ভরে যায়। লিখতে পারলে, একটি সুন্দর কবিতার জন্ম দিতে পারলে—মনটা আকাশ ছুঁয়ে যায়।
 

শিহাব শাহরিয়ার :
বাংলা কবিতার এখন কি মন্দা চলছে—আপনি কী মনে করেন? 
কাজী রোজী : কবিতার মন্দা—আমার মতে এটা ঠিক না। কবিতা কালানুক্রমিকভাবে এগিয়ে যায়। এ প্রজন্মের অনেক তরুণের হাত প্রচণ্ড সিদ্ধ। আবার অনেক কবিতা চোখে পড়ে যাকে কবিতা না বলে কিছু গোছালো শব্দ বলাই ভালো। সেগুলো থাকবে না। তবে এদের মধ্যে কারও কারও লেখা নিশ্চয়ই রয়ে যাবে। এটাই নিয়ম। অতএব কবিতার কোনও মন্দাকাল নেই। সব সময়ই কবিতার কাল। 


শিহাব শাহরিয়ার :
কবিদের যে দশকওয়ারি ভাগ করা হয় সেটা কতোটা যুক্তিযুক্ত বলে আপনি মনে করেন? 
কাজী রোজী : কবিদের দশকওয়ারি বিভাগের প্রয়োজনীয়তার জন্য একটা যুক্তি অবশ্যই আছে। একটা নাম দিতে হবে না? পরিচয় না থাকলে কালের ডাক হরকরা কী নামে ডাকবে যুগের রূপকারদের। যেমন দুজন মানুষকে আলাদাভাবে চিনবার জন্য দুটি নামের প্রয়োজন হয় তেমনি দুটি দশকের দুজন কবিকে আলাদা করে চিনবার জন্যে দশক চিহ্নিত করার প্রয়োজন। 


শিহাব শাহরিয়ার :
আপনার নিজের কবিতা আপনার কাছে ভালো লাগে? আর কার কবিতা আপনার কাছে ভালো লাগে? 
কাজী রোজী : নিজের ভালো লাগার কবিতাটি এখনও লিখে উঠতে পারিনি। তবে অন্য অনেক কবির কবিতাই আমার ভালো লাগে। দু-একজন কবির নাম আমি বলব না। তবে সবার উপরে যিনি আসীন করে আছেন—আমাদের ডানে আমাদের বাঁয়ে, আমাদের সামনে, আমাদের পেছনে, আমাদের উপরে, আমাদের নিচে, আমাদের বুকের গভীরে—তিনি তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁকে আমি সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি। তাঁকে মনে করে আমি কবিতা লেখার ক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যাই। 


শিহাব শাহরিয়ার :
আপনি কবিতা লেখায় উৎসাহ পান কার কাছ থেকে? 
কাজী রোজী : যখন থেকে কবিতা লেখা শুরু করি সেই তখন থেকে আমার প্রথম উৎসাহদাতা আমার বাবা। তারপর যিনি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তিনি কবি আল মাহমুদ। আমার লেখার জগতে তাদের সহযোগিতার কথা অস্বীকার করতে পারি না। 


শিহাব শাহরিয়ার :
আপনি কি নারীবাদী লেখক অথবা নারীবাদে বিশ্বাস করেন? 
কাজী রোজী : নারীবাদ কথাটি নারীদের প্রতি অবমাননাকর চিন্তা থেকেই এসেছে বলেই আমি মনে করি। আমি নারীবাদ কখনই মানতে চাই না। নারী পুরুষ শুধু জন্মগত কারণেই বিভাজিত। আসলে তাদের পরিচয় একটিই তা হলো মানুষ। নারীবাদের প্রশ্ন তুলে শুধু শুধুই নারীকে ছোট করে দেখা হয়েছে। আমি নারীবাদে এতোটুকু বিশ্বাসী নই। 


শিহাব শাহরিয়ার :
দেশে প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতন বেড়ে যাচ্ছে—এ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী? 
কাজী রোজী : নারী নির্যাতনের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। আজও এদেশের নারী সমাজ অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত। তাদের নিজস্ব কোনো বোধ কোথাও তারা প্রয়োগ করতে পারে না। শিক্ষার অভাব তাদেরকে অন্য সকল অভাবের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। নারী নির্যাতন শব্দটিই এখন আমাকে চাবুক মারে। তবে আশার কথা আমাদের দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। অনেক শ্রদ্ধাশীল হয়েছেন নারীর প্রতি। 


শিহাব শাহরিয়ার :
আপনি কী তাহলে বলতে চাচ্ছেন যে, নারীরা আগের চেয়ে সচেতন হয়েছে, সমাজে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে? 
কাজী রোজী : সম্পূর্ণভাবে সত্য, নারীদের গ্রহণযোগ্যতা যদি না বাড়ত, সমাজ যদি তাদের এই পরিবর্তনকে না মানত, তাহলে নারী গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হতে পারত না। তবে নারী সচেতনতা, নারী স্বাধীনতার প্রয়োজন থাকলেও তা যেন স্বেচ্ছাচারিতার পর্যায়ে না যায় সেদিকটিও ভেবে দেখা দরকার। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নারী জাগরণের যে একটা দোলা এসে লাগছে এদেশের বুকে তা যেন সহিষ্ণুতার বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারে—সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
 

শিহাব শাহরিয়ার :
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আপনার বন্ধু যিনি সম্প্রতি নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে বিজয়ী হয়ে দেশের দশম প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন—আপনার কেমন লাগছে? 
কাজী রোজী : বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী, আমার এক সময়ের সহপাঠী বন্ধু। আমার এক সময়ের ছাত্র রাজনীতির সাথি, আন্দোলনের সহযাত্রী—বিষয়টি আমার জন্যে অহংকারের এবং গর্বের। দীর্ঘ একুশ বছরের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের পথ তাঁর আজকের বিজয় আমার জন্য আনন্দের। আমি তাঁর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
 

শিহাব শাহরিয়ার :
আপনার আর এক বন্ধু কবি মেহেরুন্নেছা যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেকে আত্মাহুতি দিয়েছেন যার স্মৃতি এখনও হৃদয়ে জ্বলজ্বল করছে সেই শহিদ মেহেরুন্নেছা সম্পর্কে আপনার কাছে কিছু জানতে চাই। 
কাজী রোজী : স্বাধীনতার বেদিমূলে উৎসর্গীকৃত লক্ষজনের মধ্যে একটি নাম কবি মেহেরুন্নেছা। সে আমার বন্ধু, আমার কাছের মানুষ ছিল। একসাথে কবিতা লিখেছি, সংগ্রামী চেতনায় উজ্জ্বল থেকেছি। বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসে মেহেরের আত্মবিসর্জন আমার জন্যে গৌরবের। একইভাবে তার নির্মম মৃত্যু আমার জন্য বিপদের। বুকে কোরআন চেপে সে বাঁচতে চেয়েছিলো। কিন্তু নরপশু অবাঙালিদের ভয়াল থাবা থেকে সে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি। তার গোটা পরিবার মা, ভাই সবাই একসাথে মিরপুরে নিজেদের বাড়িতে শহিদ হলো।
 

শিহাব শাহরিয়ার : এবার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্পর্কে কিছু বলুন? 
কাজী রোজী : ১৯৭১ সালে কবি সিকান্দার আবু জাফরের হাত ধরে কিছু অস্ত্র-শস্ত্র এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্যে দেশত্যাগ করেছিলাম। কবি ছিলেন অসুস্থ। সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা তাই আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। সেই ভয়াবহ দিনে শত্রুর হাত থেকে অনেক কষ্টে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে সীমান্ত পার হয়ে আগরতলা গিয়েছিলাম। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের নেপথ্যে থেকে সাহায্য করাই ছিল আমাদের একমাত্র ও প্রধান কাজ। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যুগে-যুগে, কালে-কালে নতুন প্রজন্মের কাছে হাত বদলের সেতু রচনা করবে। 


শিহাব শাহরিয়ার :
আপনি তো গানও লিখেছেন। কবিতার পাশাপাশি গান—কোনটিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? 
কাজী রোজী : গানের একটি নিজস্ব চলন আছে। সেই চলনকে মেনে নিয়েই গান লিখতে হয়। কবিতায় আছে স্বাধীনতা। আমি কবিতা লিখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। 


শিহাব শাহরিয়ার :
আপনার দু-একটি গানের কথা বলুন? 
কাজী রোজী : গান খুব বেশি লিখতে পারিনি। তবে যে দু-একটি গান আমার নিজের কাছে উল্লেখযোগ্য মনে হয় তার একটি গেয়েছেন আবিদা সুলতানা, ‘আমার দোষে কারো নাকি কপাল ভেঙেছে’, আরেকটি গান ‘এ তোমার জানবার কথা নয়’, গানটির শিল্পী শাকিলা জাফর। অন্য একটি গান ‘চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে হয়ত সে এক কথকতা’—শিল্পী আবিদা সুলতানা, যেটি স্বাধীনতার পটভূমিকায় রচিত। এছাড়া ফিডব্যাকের মাকসুদ একটি গান করেছেন—‘এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে’ শ্রোতাদের মন কেড়েছে।
 

শিহাব শাহরিয়ার :
যতটুকু জানি খুব ছোটবেলা থেকেই ঢাকা বেতারের মাধ্যমে আবৃত্তি, উপস্থাপনা, অভিনয় করে আসছেন। পরবর্তীকালে নাট্যকার হিসেবেও আপনার খ্যাতি হয়েছে—এই যে এত মাধ্যমে কাজ করেছেন তাতে কোনো অসুবিধা হয় না। 
কাজী রোজী : শিহাব, তুমি আবৃত্তি করো, কবিতা লিখো—তোমার কি কোনো অসুবিধা হয়? নিশ্চয় বলবে, না। আসলে প্রতিভা একসমুদ্রের মতো বিশাল আয়োজন। সেখানে পাশাপাশি অনেক কাজ একসাথে ধরে রাখা যায়। যেটি প্রয়োজন তাহলো আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা।
 

শিহাব শাহরিয়ার :
একমাত্র মেয়ে সুমীকে বিয়ে দিয়ে এখন একা একজন মানুষ, চাকরি করছেন, কবিতা লিখছেন, সংসার করছেন, বেড়াতে যাচ্ছেন—এই এত কিছুর মাঝেও কি আপনার কোনো অতৃপ্তি কাজ করে? 
কাজী রোজী : অতৃপ্তি তো অবশ্যই আছে। অতৃপ্তি না থাকলে বেঁচে থাকতাম কী করে। মেয়ে আছে মেয়ের জগতে। আমাকে ঘিরে থাকার সময় তার কোথায়। তাই তো আমি নিজের মাঝে নদীর জলের ঘূর্ণির মতো আবর্তিত হই। 


শিহাব শাহরিয়ার :
কবিতা লিখে আপনি কি তৃপ্ত? 
কাজী রোজী : না। তৃপ্তিতেই পরিসমাপ্তি। আমি অতৃপ্তই থাকতে চাই।
 

শিহাব শাহরিয়ার :
গদ্য লিখবেন কি? 
কাজী রোজী : কিছু গদ্য লিখেছি। ছোটগল্প, নাটক। তবে বড় ক্যানভাসে ধরে রাখার মতো গদ্য লিখিনি। ইচ্ছা আছে জীবনের শিকড়সুদ্ধ টেনে এনে একটি উপন্যাস লেখার।
 

শিহাব শাহরিয়ার :
আপনার শরীর এখন কেমন? 
কাজী রোজী : এটা কি তোমার শেষ প্রশ্ন?
 

শিহাব শাহরিয়ার :
হ্যাঁ, আপাতত শেষ প্রশ্ন?
কাজী রোজী : আপাতত বলে ভালোই করেছ। একেবারে শেষ করে দাওনি। আসলে আমি শেষ হতে চাইনে। আমার শরীরে শেকড়ে গেড়ে থাকা দুরন্ত ক্যান্সারকে প্রচণ্ডভাবে মোকাবিলা করে আমি বেঁচে আছি। সার্বক্ষণিক একটা ব্যর্থ প্রতিনিয়ত আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। তবু তাকে অতিক্রম করে আমি বেঁচে আছি। আমি বেঁচে আছি ব্যস্ততা নিয়ে। আমি বেঁচে আছি কাজ নিয়ে, আমি বেঁচে আছি আগামী প্রজন্মের কাছে আরও কিছু কথা রেখে যাব বলে। আর তোমাদের জন্যে শুধু ভালোবাসা।

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
রাশিয়ায় বন্যা, শত শত ঘরবাড়ি প্লাবিত
রাশিয়ায় বন্যা, শত শত ঘরবাড়ি প্লাবিত
ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ যাত্রী নিহত
ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ যাত্রী নিহত
সম্প্রচারের দুই দশকে...
সম্প্রচারের দুই দশকে...
সর্বাধিক পঠিত
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি