সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন প্রখ্যাত রুশ কবি ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেঙ্কো। তিনি জন্মেছেন ১৯৩৩ সালের ১৮ জুলাই। কবিতার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক ও চিত্রনাট্য। এছাড়াও প্রকাশক, অভিনেতা, সম্পাদক এবং কয়েকটি সিনেমার পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। বলা হয় তিনি সোভিয়েত যুগের শেষ কবি। ইংরেজি থেকে তার পাঁচটি কবিতা অনুবাদ করা হলো।*
জীবিকা
‘গ্যালিলিও’, পাদ্রি বললেন,
এক ক্ষতিকর, একগুঁয়ে লোক।
তবু সেই সময় থেকে অনেকগুলো শতাব্দী পার হবার পর
সময়ই জানিয়ে দিলো আমাদের যে সবচেয়ে
একগুঁয়ে মানুষগুলোই সবচেয়ে মেধাবী হয়।
গ্যালিলিওর সেই যুগে তার সতীর্থ বিজ্ঞানীরা
কেউই ছিল না তার চেয়ে নির্বোধ।
তিনি জানতেন পৃথিবী সদা ঘূর্ণায়মান,
ওদিকে ছিল তার বিশাল পরিবারের
বেশ ক’টি অভুক্ত মুখ—
যাদের খাওয়ানোর দায়িত্ব ছিল তারই।
কাজেই স্ত্রীর সাথে একটি গাড়িতে চেপে এসে
চার্চের সামনে তিনি চাইলেন ক্ষমা,
আর ভাবলেন জীবিকা নিশ্চিত হলো এইবার,
যদিও বাস্তবে তার সুরক্ষা হলো না আদৌ।
আমাদের গ্রহকে নিয়ে সত্য কথা বলার ঝুঁকি
একা তিনিই নিয়েছেন,
সত্যিকারের জীবিকা তাই
শুধু তারই ছিল।
সুতরাং আমি সেই সব জীবিকাকে কুর্ণিশ করি,
যে সব জীবিকা সমতূল্য শেক্সপীয়ার অথবা পাস্তারের
জীবিকার সাথে— কিংবা নিউটন অথবা তলস্তয়—
ভাবো তাদের কথাও!
জীবদ্দশায় এদের সবার দিকেই
মানুষ কেন ছুঁড়েছে কাদা?
প্রতিভা নিজেই নিজেকে চেনায়,
যত আসুক দণ্ড-পীড়া-অপমান।
ইতর যে জনতা অপমান করেছে তাদের,
সেই সব মানুষের কাউকেই আর মনে নেই আমাদের,
মনে আছে শুধু অপমানের ভুক্তভোগীদের কথাই।
বাতাসের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে তারা প্রত্যেকে বিলীন আজ,
যে চিকিৎসকেরা লড়াই করেছেন কলেরার বীজাণুর সাথে,
তাদেরই ছিল সত্যিকারের জীবিকা!
তাদের জীবিকাই আজ উদাহরণ হোক আমার।
নিজস্ব কাজের প্রতি তাদের বিশ্বাস হোক আমার পবিত্র বিশ্বাস,
তাদের বিশ্বাস হোক আমার পৌরুষ,
নিজের জীবিকায় যেন সত্য হতে পারি,
লোকরঞ্জনে ব্যস্ত না হয়ে।
কৌতুক
জার, নৃপতি অথবা সম্রাটগণ,
পৃথিবীর যাবতীয় সার্বভৌম শাসকেরা,
অসংখ্য কুচকাওয়াজের নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্দেশ দিয়ে তারা শুধু যা বানাতে পারেননি
তা’ হলো কৌতুক।
ঈশপ, ভবঘুরে সেই পরিব্রাজক,
যখন পরিদর্শন করেছেন বিলাস-ব্যসনে মত্ত
যত অমাত্যের প্রাসাদ,
তারা আক্রমণ করেছে তাকে
যেমনটা করা হয় কোন ভিখিরীকে।
ভণ্ডরা যেসব ঘরে রেখে গেছে
তাদের দুর্বল পায়ের ভেজা ছাপ,
সেখানেই হোজ্জা নাসির উদ্দীন,
দাবাড়ুর পাতা দাবার মতো
সব সঙ্কীর্ণতা মুছে ফেলেছেন
তার হাস্য-কৌতুকে!
শাসকেরা তাই কিনতে চাইলেন কৌতুক—
অথচ কৌতুক যায় না কেনা।
শাসকেরা তখন খুন করতে চাইলেন কৌতুক,
কিন্তু কৌতুক তাদের নাক মলে দিল।
কৌতুকের সাথে লড়াই কি যে কঠিন।
শাসকেরা বারবার কৌতুককে পরাতে চাইলো ফাঁসি।
কৌতুকের কর্তিত মুণ্ডু
গাঁথা হলো বর্শার সূচ্যগ্রভাগে।
তবু বিদূষকের বাঁশির সুরে
যে-ই না শুরু হতো তির্যক বিদ্রুপাখ্যান,
কৌতুক তার দ্রোহী গলায় বলতো:
‘আমি এসেছি! এখানে ফিরে এসেছি আবার!’
কৌতুক শুরু করতো পা ঠুকে ঠুকে আর নাচতো।
ছোট আর ঢোলগরদ ওভারকোট পরনে তার,
চোখ দু’টো মাটিতে নামানো
আর মুখে অনুশোচনার মুখোশ,
আহা, একজন রাজনৈতিক অপরাধী,
এখন বন্দি, যে হেঁটে গেছে তার ফাঁসির মঞ্চে।
কৌতুক ফিরে আসতো নানা ভাবেই,
এই সে মেনে নিয়েছে জীবনের ওপারে চলে যাওয়ার শর্ত,
তারপর হঠাৎই ফিরে আসা তোর
এঁকে বেঁকে—কোটের ভেতর থেকে,
বজ্রপাতের মতই তারপর তার চকিত হাত নাড়া।
কৌতুককে পোরা হলো জেলের গারদে,
তাতে তার বরঞ্চ লাভই হলো।
জেলের গরাদ আর পাথুরে দেয়ালের
ভেতর দিয়ে সটান ঢুকে গেল কৌতুক।
শীত প্রাসাদের উপর রাইফেল হাতে দাঁড়ানো
সকল উর্দি পরা মানুষের ফুসফুস থেকে
কফের মতোই সে কুচকাওয়াজ করে চললো
জনপ্রিয় কোন চটুল গানের কলি গাইতে গাইতে।
কুঞ্চিত ভ্রু চাহনী সে চেনে,
কৌতুকের কোন ক্ষতি তারা করতেই পারে না;
কখনো কখনো কৌতুক নিজেই নিজের দিকে চেয়ে হেসে ওঠে।
সর্বত্র বিরাজমান সে; ক্ষিপ্র ও বড্ড চটপটে।
যে কোন কিছুর ভেতর থেকে, সবার ভেতর থেকে
ফাঁক গলিয়ে যাবে সে—যেতে পারবে।
কাজেই এসো শৌর্য গাই আমরা কৌতুকের তরে,
সে যে প্রবল বীর একজন!
যুদ্ধের দিনে বিয়ে
যুদ্ধের দিনে বিয়ে,
মিথ্যে প্রতারক স্বস্তি,
সেই সব ফাঁপা যত বাক্য:
‘না- না—ওর মৃত্যু হবে না...’
শীতের বরফ ঝুরঝুরে রাস্তায়
নিষ্ঠুর বাতাসের সপাং চাবুক,
পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে
আমি দ্রুত চলি এক বিয়ের আসরে।
সযত্নে ঢুকে পড়ি এক গমগম কুঁড়েঘরে।
আমি এক বিখ্যাত লোকনৃত্য নাচিয়ে,
আমার কপালে ঝুঁকে পড়ছে একটি অলকগুচ্ছ।
কেতাদুরস্ত সাজে থাকা যত আত্মীয়-বান্ধব
উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন,
যুবক বর উত্তেজিত।
বসে আছে তার কনে বউ ভেড়ার সাথে—
অথচ এক কি দু’দিন বাদেই
তাকে পরতে হবে এক সৈন্যের ধূসর কোট
তারপর যেতে হবে ফ্রন্টে—রণাঙ্গণে।
তারপর রাইফেল হাতে সে ছুটবে
ভিনদেশী মাটির উপরে।
হয়তো কোন জার্মান বুলেট তার বুকে বিঁধে
তাকে শুইয়ে দেবে...
ঘরে গেঁজানো মদের ফেনায়িত গ্লাস
সে এখনো পান করতে পারেনি।
নববধূর সাথে প্রথম রাত
হয়তো হবে তার শেষ রাত।
হতাশ বর টেবিলের কিনার থেকে
আমার দিকে চিৎকার করে তার সমস্ত ক্ষোভ নিয়ে:
‘বেশ, যাও, তুমি নাচা শুরু করছো না কেন?’
অতিথিরা যে যার পানাহার ভুলে
আমার দিকেই তাকিয়ে সবাই
তাদের চশমার ভেতর থেকে।
কাজেই উঠে দাঁড়াই আমি,
জুতোর খুরের সাথে তাল ঠুকে ঠুকে
নাচার কসরত করি।
এই তূর্য বাদন করি,
এই মেঝেতে পায়ের আঙুল ঘষে নাচি।
তীক্ষ্ম শীষে ফেটে পড়ে
করতালি দেই।
ছাদের সিলিং অবধি দিই লাফ।
দেয়ালের উপর থেকে উড়তে থাকে শ্লোগান যত,
‘হিটলার শেষ হবে! শেষ হয়ে যাবে!’
তবু কনে বউয়ের গাল পুড়ে যায় তপ্ত অশ্রুতে।
আমি তো ইতোমধ্যে এক ছেঁড়া ন্যাকড়ায় পর্যবসিত,
কোনমতে শ্বাস ধরে রাখি...
‘নাচো!’
হতাশ অতিথিরা চীৎকার করে,
আমি পুনর্বার নাচি...
ঘরে ফিরে টের পাই
আমার গোড়ালিদ্বয় জমে কাঠ হয়ে আছে;
তবু আর একটি বিয়ের ভোজসভা থেকে
মাতাল অতিথিরা এসে
আমার দরজায় দেবে টোকা।
মা আমাকে বের হবার অনুমতি দিতেই
আমাকে যেতে হবে আর একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে।
ভোজের টেবিলে নতুন কাপড় পাতা।
পা ঠুকে আর হাঁটু ভাঁজ করে
পুনরায় নাচের কসরত করি।
কনে ভেঙে পড়ছে কান্নায়।
অতিথিরাও কাঁদছে সমানে।
ওদের সবার জন্যই ভারি ভয় করছে আমার।
এমন অবস্থায় নাচতে ইচ্ছা করে না একদমই আমার,
এমন সব সময়ে তুমি নাচতে পারো না।
অপেক্ষা
আমার দয়িতা আসবে
আমার দিকে মেলে দেবে তার দুই বাহু
আর আমাকে জড়িয়ে নেবে তার বাহুর আড়ালে,
মেয়েটি বুঝতে পারবে আমার সব ভয়,
লক্ষ্য করবে আমার যাবতীয় পরিবর্তন।
ছলকে পড়া, ঘনায়মান সন্ধ্যা থেকে
অথবা ঘন কালো রাত্রির ভেতর থেকে
সে আসবে আমার কাছে।
ট্যাক্সির হাঁ করে খোলা দরজা বন্ধ না করেই
জরাজীর্ণ বারান্দা থেকে দুমদাম সিঁড়ি বেয়ে
সে ছুটে আসবে আমারই কাছে।
প্রেম আর প্রেমের সুখে পুড়তে পুড়তে।
সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসে ও এমনকি
আমার দরজায় করাঘাতও করবে না,
দু’হাতের তালুতে নেবে আমার মুখ,
আর চেয়ারের উপর যখন ওর ওভারকোটটা খুলে রাখবে
সেটা মেঝেতে পড়ে যাবে নীল রেশমের স্তুপ হয়ে।
প্রেমে মহিয়সী তুমি
প্রেমে মহিয়সী তুমি,
চির সাহসিকা।
তোমার কোন অনিষ্ট আমাকে দিয়ে হবে না।
যদিও তোমার কোন ইষ্ট সাধনের ক্ষমতাও আমার নেই।
আপাতত প্রতীয়মান হচ্ছে এটাই
যে তুমি আমাকে নিয়ে যাচ্ছ ঘোর অরণ্যের ভেতরের এক পথ দিয়ে—
এখন আমাদের দু’জনেরই কোমর সমান উঁচু বুনোফুল ঝোঁপ,
এমনকি জানিও না কি নাম এই সব ফুলের।
অতীতের অভিজ্ঞতা কোন কাজেই লাগছে না আর।
কি করতে হবে আর কিভাবে?
তুমি ক্লান্ত আর আমাকে আজ্ঞা দিচ্ছ
তোমাকে আমার বাহুতে তুলে নিতে,
বহন করতে।
তোমাকে ত’ বহন করছিই আমি।
‘তুমি কি দেখতে পাচ্ছ আকাশ কি রকম নীল?
শুনতে কি পাচ্ছ অরণ্যের পাখিদের গান?
বেশ, এখন তবে আর অপেক্ষা করছো কিসের?’
‘হুম?’
‘আমাকে নিয়ে চলো—’
‘কিন্ত কোথায় নিয়ে যাব তোমাকে আমি?’
* মাত্র সাত বছর বয়সে বাবা-মা’র ছাড়াছাড়ি হবার পর মা’র কাছেই মানুষ হন তিনি। মাত্র উনিশ বছর বয়সে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভবিষ্যতের সম্ভাবনা’ প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পর ১৯৫১-১৯৫৪ সাল নাগাদ মস্কোতে ‘গোর্কি ইনস্টিটিউট অফ লিটারেচার’-এ তিনি পড়াশুনা করেন। ১৯৫৫ সালে ‘স্তানিশিয়া জিমা (জিমা স্টেশন)’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমেই সবার নজরে আসেন। ১৯৫৭ সালে ‘গোর্কি ইনস্টিটিউট অফ লিটারেচার’ থেকে কবিতায় ব্যক্তিসত্তার প্রকাশের জন্য বহিষ্কিত হন। খোদ বরিস পাস্তেরনাক, কার্ল স্যান্ডবুর্গ এবং রবার্ট ফ্রস্ট তার শুরুর দিকের কবিতার প্রশংসা করেছেন।
নিকিতা ক্রুশ্চেভের সময়ে কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকদের কিছুটা স্বাধীনতা দেওয়া হলে ইয়েভতুশেঙ্কো তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা ‘বেবি ইয়ার’ রচনা করেন। এই কবিতায় ১৯৪১-এর সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের কিয়েভে নাজি বাহিনীর হাতে ইহুদি গণহত্যার যে বিষয়টি পরবর্তী সময়ে সোভিয়েত রাষ্ট্র চেপে গিয়েছিল, সেই প্রবণতার সমালোচনা করা হয়। এই কবিতায় শুধু নাজি বাহিনীর অত্যাচার নয়, খোদ সোভিয়েত রাষ্ট্রে ইহুদিদের নির্যাতনের কথাও বলা হয়। বিখ্যাত সুরকার দিমিস্তি শস্তাকোভিচ এই গানে সুরারোপ করেন এবং বলেন, ‘বিবেকের সহোদরা হলো নৈতিকতা। ঈশ্বর অবশ্যই ইয়েভতুশেঙ্কোর সাথে থাকেন যখন তিনি বিবেকের কথা বলেন। প্রতি সকালে প্রার্থনার বদলে আমি ওনার দু’টো কবিতা জীবিকা এবং বুট পড়ি।’ তাঁর রচিত আর একটি কবিতা ‘স্ট্যালিনের উত্তরসুরীরা’ যা ‘প্রাভদা’য় প্রকাশিত হয়েছিল, পরবর্তী ২৫ বছর নিষিদ্ধ ছিল যতদিন না আর মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতায় আসেন। ১৯৬৩-৬৫ সাল নাগাদ সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইরে কবির বিদেশে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৬৩ সালে কিয়েভে ইহুদি গণহত্যা নিয়ে কবিতা রচনার জন্য তিনি নেবলে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। ১৯৬৫ সালে ইয়েভতুশেঙ্কো অপরাপর কিছু বুদ্ধিজীবী যেমন আন্না আখমাতোভা, জাঁ পল সার্ত্র সহ আরো অনেকের সাথে জোশেফ ব্রদস্কির বিরুদ্ধে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের অন্যায্য মামলার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করেন।
সোভিয়েত চলচ্চিত্র ‘সয় কিউবা (আমি কিউবা)’ সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রের জন্য ইয়েভতুশেঙ্কো গান রচনা করেছিলেন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইয়েভতুশেঙ্কো বরিস ইয়েলৎসিনের সমর্থক হন। তবে, চেচনিয়ায় ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রেক্ষিতে ইয়েভতুশেঙ্কো ইয়েলৎসিনের হাত থেকে পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। ১৯৯৫ সালে সমকালীন রুশ কবিতার সঙ্কলণ ‘এক শতকের কবিতা’ সম্পাদনা করেন তিনি।
২০০৭ সালের পর থেকে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে থাকতেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে চারবার বিবাহিত ইয়েভতুশেঙ্কোর চার স্ত্রীর নাম হচ্ছে: বেলা আখমাদুলিনা, গালিনা সকোল-লিউকোনিনা, জান বাটলার (ইনি কবির কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন এবং তার একমাত্র অরুশী স্ত্রী) ও মারিয়া নভিকোভা। তার পাঁচ পুত্রের নাম হলো দিমিত্রি, সাশা, পিওতর, আন্তন এবং ইউজিন। ২০১৭-এর ১ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার তুলসায় হিলক্রেস্ট মেডিক্যাল সেন্টারে তিনি মারা যান। পুত্র ইউজিন জানান যে ছ’বছর আগে কিডনীর ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবার তার অসুখ ফিরে এসেছিল।
জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্তরে অর্ধশতকের বেশি পুরস্কার পেয়েছেন এই কবি।