কবিতা

রূপকুমারী নদীর চুম্বন ও কায়সারের কবিতায় প্রেমের যাপন চিত্রশামীম রেজাপাবলো নেরুদার Veinte poemas de amour y una cancion despereda 'কুড়িটি প্রেমের কবিতা ও একটি বিষাদগাথা' কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত...

জন্মাষ্টমী—১ আলো এসো কালো যাও ভোর জন্মাষ্টমীতোমারে ডাকিছে দ্যাখো তোমার জননীরাধিকাও ডাকে আজ বিরহদিবসেসে প্রেম ফিরিয়ে দাও কলির কলসেহা কৃষ্ণ.. হা কৃষ্ণ, শোনো, যেনো কে ডাকছেকবিতায় সাধনায় ভজনে...

শব্দ যখন দহন করে প্রেমের মতোই দারুণশব্দ যখন আঁকতে পারে অস্তাচলে অরুণশব্দ যখন বৃষ্টি নামায় আমার বুকের গহিনশব্দ যখন আকুল বাজায় তোমার মনের বীণতোমার ঠোঁটে ছোঁয়াই তখন তর্জনীটি আরআমার বুকে ঝড় আনে সেই...

আবহমান বাংলার সকল দুঃখী নারীর প্রতি নিবেদনরিতার দুই চোখ আজ বিমর্ষ-করুণ।আকাশে নবীন মেঘ দেখেমনে হয় যেন সারাটা আকাশ জুড়ে লেপ্টে আছেরিতার দুই করুণ চোখের কাজল,আর চোখের দৃষ্টিতে বাধা পড়ে আছেকোনো প্রাচীন...

পরানী ও মথুরার মাঠ ও পরানী মথুরার মাঠে বসে তুমি নির্জনএ পাড়ায় আমি কাদা ছানি                  যুবককুমাররাধার মূর্তি গড়ে পেতেছি খেলাচুলের কাজল দেহ বেয়ে মধ্যরাত নামে ও পাড়ার কুমারীরা চোখ...

আপেলছুরি নেই, তাই নখ দিয়েআপেল—দু'ফালা করে কাটিদ্যাখো যৌথতা, একাকিত্বকী ভীষণ মৃত্যুসম!নখের আঘাতে চুরচুর ভাঙিসবুজ ফলের ক্লিশে উদ্দামতাঅপেক্ষায়, ক্ষয়িষ্ণু ঠোঁটদুটোতাকে দেই চিবিয়ে খাবার জোরধীরে ধীরে...

সমুদ্রে পানশালাসমুদ্রে যাও বালির কাছে জলের কাছেবালির নিচে আছে সাত রাজার ধন গুপ্ত মানিকচাকচিক্যময় রুপালি জলের করাতেজলের ত্রাসে ছুটে পালায় জলহাঙরদ্বিধার লবণ, সমুদ্রের নৈতিকতা।রূপচাঁদা মাছ, মদ, সমুদ্র...

গাছযেখানেই পা রাখি সেখানেই শেকড় ছড়ায়বসলেই উদ্যান আর হেলান দিলেই নিবিড় বনভূমিমুখের সামনে কিছু চঞ্চল মুখ এসে কী যেন বলেটলে চলে যায়হয়তো উঠতে বলে। হতো তাদেরকে অনুসরণ করেপৌঁছানো যাবে কোনো বেদুইন...

বর্ষানুরাগ গ্রীষ্মের প্রচণ্ড নিদাঘেযখন ফেঁটে বিদীর্ণ হয় ধান ক্ষেতের বুকতখন ধানক্ষেত যেনো চাতক পাখিকরুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, আকাশের ঐ নীলিমায়আশায় বাঁধে বুক, এবার তুমি আসবেতৃষ্ণার্ত শিশুটির কাছে,...

[বাংলাদেশের অপূর্ব ও শক্তিশালী নারীদের প্রতি উৎসর্গ] পদ্মা নদীর তীরে প্রথম হাঁটা...কুয়াশা, কী তুমি?   আরেক রূপে উপচে পড় আমার পায়ের আঙুলের উপর   নিতে চাই ভিনদেশি স্বাদ তোমার তীরে...

পুনর্জন্মহিসি-কাঁথা আর তীব্র ডেটলস্নানের মায়ায় জড়ানো এই আমার পুনর্জন্ম, একটু আলতো করে ধরো। পিচ্ছিল সুড়ঙ্গপথ পেরিয়ে তোমাদের অস্পষ্ট পৃথিবীতে গড়িয়ে গড়িয়ে নেমেছি। ভ্রমরগুঞ্জন থেকে বর্ণমালা খুঁজে...

১.এই যে এতো কথাসবুজে হাঁটা, নদীর পাড়মেঘের পাহাড় থেকে সমুদ্রে সাঁতারঅথচ খুব চেনাআসে অপরিচিত দুঃখতখন দিনের পর দিন বৃষ্টি হয়বসন্ত বাতাস গ্রাস করে নেয় শীতের প্রবাহঘুরে ঘুরে প্রাচীন ‘সাদা...

প্রকৃতিসময় হয়েছে। কিন্তুগোসলে ঘোর আপত্তি, তাই—মায়ের শাসন, কয়েকটা মার, বাচ্চার কান্না       ঝড়শরীরে পানি ঢেলে দেওয়া      ...

রক্তরক্তের ভেতর এক তীব্র নারী                     তাপ-সজ্জা জুড়ে নতবাকসে আমার অ-জলীয় রাতেভ্রমের...

ক্ষুধার্ত পাখিদের গানআকাশ খেতে ইচ্ছে হলে আকাশের কাছে যাই। আমি খুব ক্ষুদ্র হয়ে আছি হা-এর ছিদ্রটা একটু বড় হলে আকাশটা একদিন টুকরো টুকরো হয়ে হা-এর ভেতর ঢুকে যাবে!দুই.ঘর থেকে এক কৌটা ঘুম চুরি হয়ে...

ফিরে ফিরে আসা বর্ষার মতোঅনিঃশেষ জাদুকরের হাসিবৃষ্টিতে একাকার হয়ে যাওয়ার পরআমার বুকের ভেতরেও বৃষ্টি এলোপদ্মদীঘি থেকে তাই পালিয়ে গেলপাঁজর ভাঙার গানসে-গান বৃষ্টির সুরের ভেতরেভালো লাগে খুব, অপেক্ষা...

শূন্যে কেমন দেখশূন্যে কেমন দেখ চেয়ে আছে আমাদের পূর্বপুরুষরা।যখন বিবাগী আমি রাত্রিকালে,এই হাতে কত বাঞ্ছার মৃত্যু থেকেছে জেগে,তখন এমনই ঘুরি যেন কোনো শিকারেতে আছি।করছি শিকার আমি পরিচিত প্রতি...

ফানাকোথাও কোনো শব্দ নেই। সারিবদ্ধ তারাদের নতজানু আলো, দমকে দম জিকির উঠেছেーহে অন্ধ আকাশ, হে ঘরহারা পাখি ওহে মাতাল বাতাস, সালাতের নবম মুদ্রা থেকে কেউ ছিটকে পড়ো না। পঞ্চম মুদ্রায় যে সমুদ্র-...

পোয়াতি বৃষ্টিঅনেকদিন বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখিনি হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া বৃষ্টি না দেখলেও অনুভব করেছি বৃষ্টি একটা আস্ত পুরুষ মানুষ; হাত ছোঁয়ার বাসনায় গড়িয়ে যায় ছুঁয়ে যায় আপাদমস্তক; প্রকাশ থেকে গোপন যত...

কেন তোমাকে ভালোবাসিসে প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে চাইনে।বলতে চাইনে রাত্রের অগোচরেকোনো দ্বিধান্বিত বাক্য।সহসা নাগরিক কটূক্তি দূরে রেখেগোলাপের মতো তীব্র সুবাস নিয়েফুটে থাকে যে ফুল—কণ্টক মাড়িয়ে তাকে...