আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষেই মেরুদণ্ডহীন করে দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনকে অপসারণ, হামলাকারী পুলিশ-ছাত্রলীগের বিচার এবং শিক্ষার্থীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংহতি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষেই মেরুদণ্ডহীন করে দেওয়া হয়। আজ যখন শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন করছে তখন তাদের ওপরে নিপীড়ন শুরু করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায়, যারা সরকারের ভৃত্য-গোলামে পরিণত হতে পারে তারাই আজ ওই পদের জন্য যোগ্য হয়ে থাকে। যার উদাহরণ আজকের শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটমান পরিস্থিতিতে তথাকথিত উপাচার্যের শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণের মাধ্যমে পরিলক্ষিত।
শাবিপ্রবি আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন, এটি সারাদেশের লুটপাট, জুলুমের প্রতিচ্ছবি। এই শাবিপ্রবি ভিসি নিজেকে জমিদার মনে করেন। তিনি ক্ষমতার ডালে বাদুড়ের মত উল্টে জড়িয়ে আছেন। ইনি একজন গ্রেনেডিয়ার, গ্রেনেড ভিসি৷ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে তিনি সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়েন। এই উপাচার্যকে সরানো না গেলে সারাদেশে এ রকম অনেক দুর্বৃত্ত উপাচার্য তৈরি হবে।
বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা রিতু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা জুঁতি, সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদ, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্সসহ আরও অনেকে।