ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিষ্ঠাকালীন হল সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (এসএম হল)। কালের পরিক্রমায় এই হল এখন নড়বড়ে অবস্থায়। ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ দেওয়া, ছাত্রজীবন শেষেও দীর্ঘদিন হলে অবস্থানের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় বারান্দায়।
তবে হলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর নতুন করে শিক্ষার্থীদের এটাচ দেয় বন্ধ হয় ২০২০-২১ সেশন থেকে। এখন বারান্দায় যারা অবস্থান করছেন তারা সবাই ২০১৯-২০ সেশন অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' এর প্রভাবে শুরু হওয়া ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে বারান্দায় অবস্থায় করতে পারছেন না তারা। বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ার ঝাপটায় বইখাতা, বিছানা ভিজে একাকার।
কেউ অবস্থান নিয়েছেন মসজিদের হলে। আবার কেউ অন্য কোনও হলে, বন্ধুর রুমে জায়গা খুঁজতে বেরিয়েছেন।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ বলেন, আমরা তৃতীয় বর্ষের সবাই সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বারান্দায় থাকি, আজকে ঝড়ে সেখানে ঘুমানোর মতো পরিস্থিতি নাই। বই ভিজে যাচ্ছে, জামাকাপড় উড়ে যাচ্ছে।
মামুন খান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা বারান্দায় থাকছি। আমাদের জিনিসপত্রের কোনও নিরাপত্তা নেই। ঝড়-বৃষ্টি এবং শীতের সময় বারান্দায় অবস্থান করাও অসম্ভব হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে আছে।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মজিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হলের বারান্দায় কোনও শিক্ষার্থী থাকার কথা না। আমরা সেখানে তাদের অবস্থান করতে নিষেধ করেছি। কেননা সেটি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। আর আমার কাছে রিপোর্ট এসেছে সেখানে যারা অবস্থান করছে তারা মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র।
সেখানে সবাই তৃতীয় বর্ষের বৈধ শিক্ষার্থী জানালে তিনি বলেন, তাদের আগামীকাল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলবেন। আজকের জন্য তাদের টিভি রুমে অবস্থান করতে বলবো। আমাদের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে কোনও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হলে থাকবে না। আর যে রুম আছে সেখানে আমাদের সকল বৈধ শিক্ষার্থী সিট হয়ে যাবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন প্ল্যান পাস হয়ে গেছে,খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
