সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ১৫ তম আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের (আইআইইউএসএফএফ) দশম ক্যাম্পাস স্ক্রিনিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে সার্বিক সহায়তা করেছে সিকৃবি চলচ্চিত্র সংসদ।
‘টেক ইউর ক্যামেরা, ফ্রেম ইউর ড্রিম’ স্লোগান নিয়ে ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে আইআইইউএসএফএফ। প্রতি বছর বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আহ্বান করা হয়। এ বছর ৯৬টি দেশ থেকে এক হাজার ৬৭১টি শর্ট ফিল্ম জমা পড়েছে। এর মধ্য থেকে নির্বাচিত শর্টফিল্ম দেশব্যাপী প্রদর্শনী করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের দফতর সম্পাদক শৌভিক দেবনাথ শন্তু বলেন, ‘২০০৭ সালে আমাদের এই ইভেন্টের যাত্রা শুরু; আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব। আমাদের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যারা আবেগ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। যাতে তারা উৎসাহ পান। এছাড়া আমরা যে বিশবিদ্যালয়ে গিয়েছি, সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী কোনো শর্টফিল্ম তৈরি করে থাকলে সেটি আমরা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছি। আমাদের এই কাজ আগামীতেও চলবে। আমরা এই কাজ চালিয়ে যাবো যাতে করে নতুন নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতারা বেরিয়ে আসেন এবং উৎসাহ পান।’
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি শতাব্দী দত্ত শ্রাবণ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ আমাদের সঙ্গে কোলাবোরেশান করে ১৫তম আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস স্ক্রিনিং করছে; যা বিশ্ববিদ্যালয় দুটির মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের যে লক্ষ্য নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ কাজ করে, তাতে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করবে।’
এবারের আসরে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো দেশের ছয়টি বিভাগের ৯টি ক্যাম্পাসে প্রদর্শন করা হচ্ছে। গত ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাস স্ক্রিনিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এ বছর উৎসবের ১৫তম আসরে সহযোগিতায় রয়েছে রয়্যাল নরওয়েজিয়ান দূতাবাস এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।