আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ‘মানবাধিকার: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
এতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবার সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। এদেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দিনরাত পরিকল্পনা, শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘একশ্রেণির মানুষ মানবাধিকারের কথা বলে হরতাল, অবরোধ, সন্ত্রাস ও সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। যারা গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করে তাদেরকেই মানবাধিকারবিরোধী বলে আখ্যায়িত করছে তারা।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনও দেশে এত স্বাধীনতা নেই, যা বাংলাদেশে আছে। মানুষ ইচ্ছে মতো কথা বলতে ও মিছিল-সমাবেশ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দাম হুসাইন, মুয়াম্মর গাদ্দাফি, পানামার সাবেক জেনারেল ম্যানুয়েল আন্তনিয়ো নরিয়েগা অপহরণ ও হত্যা এমনকি আফগানিস্তানের মতো দেশে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারলেও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। অথচ তারাই আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। আমাদের মানুষের যে কর্মস্পৃহা, যুক্তরাষ্ট্র হাজার বার নিষেধাজ্ঞা দিলেও দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
এ সময় অন্যান্য বক্তা মানবাধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন , পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে কোনো না কোনো ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে। যারা মানবাধিকার নিয়ে লোভ দেখানো কথা বলে, তারাই এই অধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। আমরা চাই একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল দেশ। সারা বিশ্বের মানুষ যেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার না হয়, আজকে কর্মসূচি থেকে এটাই প্রত্যাশা আমাদের।
এর আগে বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞার নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়ে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অধ্যাপক ড. মো. আবু জাফর বেপারীর সঞ্চালনায় ও গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানবাধিকার বিষয়ক আলোচনা সভা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মাসুদ আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।