জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বরাবর মঙ্গলবার দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপাচার্য কামরুল আহসান বুধবার বলেন, ‘তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি (একাংশ) ফাইজা মেহজাবিনের সই করা ওই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আন্দোলন একই মুক্তির বোধ থেকে উৎসারিত। ৭১ ও ২৪ প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং একই মুক্তির বোধের পরিচায়ক। তাই বঙ্গন্ধুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করেছে তাকে অস্বীকার করে ৭১ ও ২৪ কে প্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে দাঁড় করানো অপচেষ্টা। যা প্রকৃতপক্ষে স্বৈরাচারী রেজিমেরই মনোবৃত্তি। এই অপচেষ্টা পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে যাবে। আমরা সর্বকালের (৭১ থেকে ২৪) মুক্তির বোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীলরা তা হতে দিতে পারি না। ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মুক্তিকামী বোধের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমাদের এই প্রস্তাবনা। তাই, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের প্রস্তাবনা ব্যক্ত করছে। পাশাপাশি স্মারকলিপিতে আরও তিনটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের দাবি জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামের বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি চারটি আবাসিক হলের নামফলক মুছে দেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন নামকরণের দাবি জানান তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মার্চ শেখ রাসেল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বাতিল করে সিন্ডিকেট। সম্প্রতি এসব স্থাপনার নতুন নামকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনদের কাছ থেকে নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (একাংশ) উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়।