X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:০২আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৪১

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। গড়ে তুলি জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’। গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করেছি। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার কাজ চলছে। কোনও ষড়যন্ত্রই আমাদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।’

বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ  ১৯৯০ পরবর্তী দুই দশকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। বাংলদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকেরা সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীকালে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তারা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসন উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘ সংগ্রাম করি। এ আন্দোলন-সংগ্রামে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ, ডা. মিলনসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষ আত্মাহুতি দেন। স্বৈরাচারী শাসক গণআন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় গণতন্ত্র।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়।’

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা এবং দেশবাসীর এই স্বতঃপ্রণোদিত ত্যাগ ও অধিকার রক্ষায় আপোষহীনতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনে জীবনোৎসর্গকারী দেশপ্রেমিক শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

সূত্র: বাসস

/এসএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা