X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নয় দফা প্রস্তাব

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:০৮আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:১৩

জিএফএমডি সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরসহ অন্যান্য অতিথিরা সব ধরনের কর্মসূচি ও পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিবাসীদের স্বার্থকে স্থান দিতে হবে। বৈধ ও উন্মুক্ত অভিবাসনের যথাযথ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অভিবাসনের ক্ষেত্রেও নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করতে হবে। একইসঙ্গে ঠেকাতে হবে মানবপাচার। অভিবাসীদের সুরক্ষায় নয় দফা প্রস্তাবে এসব কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর।
শনিবার নবম গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘কমন স্পেস: কমপ্যাক্ট ফর গভর্ন্যান্স অব মাইগ্রেশন’ শীর্ষক সেশনে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। এতে বলা হয়েছে, অভিবাসী ও তাদের পরিবারের স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের আলোচনা, কর্মসূচি ও প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে অভিবাসীদের স্থান দিতে হবে। অভিবাসীদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তৃতীয় দফায় আকবর প্রস্তাব করেছেন নিরাপদ, সুশৃঙ্খল, নিয়মিত, উন্মুক্ত ও বৈধ অভিবাসনের পরিবেশ তৈরির। এ ছাড়া দক্ষতা ও মানবিক চলাচলের অংশীদারিত্বে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নারী-পুরুষের মধ্যে লৈঙ্গিক ব্যবধান না রেখে বৈষম্যহীন নীতি গ্রহণ করতে হবে।
ওই নয়টি প্রস্তাবের মধ্যে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ বিশেষ ঝুঁকির মুখে থাকা ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ আচরণের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে, নির্যাতন ও হয়রানির ঝুঁকি চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করার মাধ্যমে অভিবাসীদের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে, মানবপাচার রোধ করতে হবে, পাচারের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ ও সংঘাতের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় আইন তৈরি করতে হবে।
এর আগে প্রস্তাবনা উত্থাপনের শুরুতেই অভিবাসীদের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এম জে আকবর। তিনি বলেন, আমাদের আগের প্রজন্ম শরণার্থীদের কষ্ট দেখেছে। আমরাও তা সহ্য করছি। আগামী প্রজন্মকে যেন এটা দেখতে না হয় তা নিশ্চিত করার তাড়না নিয়েই আজ আমরা এখানে মিলিত হয়েছি।
ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত ‘বাসুদেব কুটুম্বকম’ শ্লোকে বিশ্বাস করে। এর অর্থ হলো গোটা বিশ্বই একটি পরিবার। আমরা মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। তবে অভিবাসী আর উদ্বাস্তু এক নয়। দু’টি বিষয়কে এক করে দেখলে উভয়ের প্রতিই অবিচার করা হবে। দু’টি সমস্যা ভিন্ন ধরনের। এদের সমাধানও এক হতে পারে না।
আকবর আরও বলেন, অভিবাসনের অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত মোকাবিলা করতে আমাদের আরও সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে। টেকসই উন্নয়নে আমাদের এজেন্ডা ২০৩০ নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। ওই এজেন্ডায় আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে, নিরাপদে, নিয়মিতভাবে ও দায়িত্বশীল অভিবাসনের সুযোগ করে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ এবং নিরাপদ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে।

/টিআর/এএআর /

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ হলে কম দামে চাল কিনতে পারবে মানুষ: খাদ্যমন্ত্রী
ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ হলে কম দামে চাল কিনতে পারবে মানুষ: খাদ্যমন্ত্রী
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
বিটুমিন গলে যাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে দুদক
বিটুমিন গলে যাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে দুদক
সর্বাধিক পঠিত
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে