ঢাকা ট্রেজারি থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র গ্রহণের সময় স্মার্ট মোবাইল ফোন বহনকারী তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন তাদের চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে। একইসঙ্গে ওই তিন শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয় শিক্ষাবোর্ডকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার সকালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার আগে ট্রেজারি থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নেওয়ার সময় স্মার্ট মোবাইল ফোন কাছে থাকায় ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ এবং টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজের প্রভাষক নাঈমা নাসরিন ও মাহাবুবুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মোবাইল ফোন জব্দ করেন ডেপুটি কন্ট্রোলার অদ্বৈত কুমার রায়।
এই ঘটনায় সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকে ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওই তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন স্থায়ীভাবে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না তাও জানতে কারণ দর্শানো নোটিশ করতে বলা হয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কলেজের গভির্নিং বডিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনার পর স্মার্টফোন ব্যবহার করা দুই কলেজের তিন শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দু’টি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলা হয় শিক্ষাবোর্ড থেকে। এছাড়া কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া কেউ ফোন ব্যবহার করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও জারি করেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান।
/এসএমএ/টিএন/
এ সংক্রান্ত আগের সংবাদ: স্মার্টফোন নিয়ে প্রশ্ন আনতে যাওয়া সেই তিন শিক্ষক পুলিশে