X
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
৭ আষাঢ় ১৪৩২

মমতার প্রস্তাবে বিব্রত শেখ হাসিনা, অস্বস্তিতে মোদি সরকার

শেখ শাহরিয়ার জামান, দিল্লি থেকে
১০ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:১৭আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:৪০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তাকে এড়িয়ে তোর্সা, সঙ্কোশ ও রাইদাক নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাবে বিব্রত বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গত ৮ এপ্রিল বৈঠকে তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিস্তা চুক্তি করতে চান না। নরেন্দ্র মোদি এবং তার সরকারও মমতার এ প্রস্তাবে পড়েছেন অস্বস্তিতে।
বাংলাদেশ সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এমন প্রস্তাবে আমরা বিব্রত। এ ধরনের প্রস্তাব সাধারণত এক সরকারের পক্ষ থেকে আরেক সরকারকে দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও ম্যান্ডেট ছাড়া এরকম প্রস্তাব দিচ্ছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তারাও এ বিষয়ে কিছু জানেন না এবং এ কারণে তারাও অস্বস্তিতে আছেন।’
সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সময় তিস্তা চুক্তির বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হাসিনা-মোদি সরকার তিস্তা চুক্তি করতে পারবে এবং করবে উল্লেখ করা হয়। আমরা একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির কথাকে গুরুত্ব দেবো।’
বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মৌখিক বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমার সরকার এবং শেখ হাসিনার সরকার তিস্তা পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান করতে পারবে এবং করবে।’
কিন্তু বাংলাদেশের চেষ্টার পরেও মোদির এই বক্তব্য দুই দেশের যৌথ ইশতেহারে বা লিখিত বিবৃতিতে সংযুক্ত করতে রাজি হয়নি ভারত। যৌথ ইশতেহার বা দুই দেশের সরকারের লিখিত বিবৃতির ৪০ নন্বর প্যারায় বলা হয়েছে, ‘২০১১ সালের জানুয়ারিতে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এটি সুরাহা করার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, এই চুক্তির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তার সরকার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কাজ করছে।’

প্রসঙ্গত, তিস্তা চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয় ছয় বছর আগে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় এটি স্বাক্ষরের কথা ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার চরম বিরোধীতার কারণে তা হয়নি।

গত ছয় বছর ধরে ভারতের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গে শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের আগে পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে অন্তত একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের জন্য চেষ্টা করেছিল ঢাকা, কিন্তু তা-ও সফল হয়নি।

/এসএসজেড/জেএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খুলনায় আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকসহ বিএনপি ও যুবদল নেতা গ্রেফতার
খুলনায় আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকসহ বিএনপি ও যুবদল নেতা গ্রেফতার
রিমান্ড শেষে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ও বাবুল চাখারী কারাগারে
রিমান্ড শেষে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ও বাবুল চাখারী কারাগারে
‘রাজনীতি না করেও’ পদ পাওয়া সেই নেতাকে ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি
‘রাজনীতি না করেও’ পদ পাওয়া সেই নেতাকে ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার কারাগারে
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার কারাগারে
সর্বাধিক পঠিত
ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দেওয়ার সময় ছাত্রদল ও শিবিরের সংঘর্ষ
ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দেওয়ার সময় ছাত্রদল ও শিবিরের সংঘর্ষ
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট মানছেন না ট্রাম্প
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট মানছেন না ট্রাম্প
ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন মোদি, জানালেন কারণ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন মোদি, জানালেন কারণ
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার আটক
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার আটক
থানায় থাকা ট্রাঙ্কের তালা খুলে বের করা হয় এইচএসসির প্রশ্নপত্র
থানায় থাকা ট্রাঙ্কের তালা খুলে বের করা হয় এইচএসসির প্রশ্নপত্র