X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ভিড় লঞ্চ-টার্মিনালে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৭ জুন ২০১৮, ১৯:১৫আপডেট : ১৭ জুন ২০১৮, ১৯:২১

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ঈদের দ্বিতীয় দিনে ভিড় লঞ্চ টার্মিনালে।  ঈদেরদিন পর্যন্ত যেসব ঘরমুখো মানুষ বাড়ি যেতে পারেননি, তারা আজ বাড়ি যাওয়ার জন্য সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে ভিড় করেছেন।  রবিবার (১৭ জুন) সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রবিবার দুপুরে দেখা গেছে, সদরঘাটের লালকুঠি ঘাট ও প্রধান টার্মিনালের পল্টুন যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। বেশিরভাগই চাঁদপুর, ভোলাসহ অন্যান্য স্বল্প দূরত্বের যাত্রী। বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ দক্ষিনবঙ্গের লঞ্চ রাতে ছেড়ে যায় বলেই সেগুলো এখনও মোটামুটি ফাঁকা।

তবে বিকাল গড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ফাঁকা আর থাকবে না বলে মনে করেন  সুন্দরবন-১০ লঞ্চের কর্মকর্তা মো. দুলাল। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বরিশালের লঞ্চ সাধারণত ৮টার পর ছাড়ে। তাই যাত্রী বিকালের পর থেকে আসা শুরু করে। যখন চাপ বেশি থাকে, তখন সকাল থেকেই এসে তারা টিকেট কেটে বসে থাকেন।’

এর আগে ঈদের দিন দুপুর বেলা গিয়েও ফাঁকা পাওয়া গেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল।সেদিন দেখা গেছে স্বল্প সংখ্যক যাত্রীর আনাগোনা। তাদের মধ্যে অনেকেই জায়গা আগে থেকেই নিতে চলে এসেছেন লঞ্চ ঘাটে। কিন্তু আজ  যাত্রী সমাগম বেশি। যাত্রীরা বলছেন, এটি ঈদের সময়ের নিয়মিত চিত্র।

চাঁদপুরগামী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চাঁদপুরের প্রচুর মানুষ ঢাকায় থাকে, এটি ঈদের সময় বোঝা যায়। লঞ্চের কানায় কানায় মানুষ পূর্ণ থাকে। এই সুযোগে অনেক লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেও নিয়ে যায়।’ তবে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কোনও সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা। তিনি বলেন এখন যেটা আছে, সেটা স্বাভাবিক চাপ। এ সময় এ রকম যাত্রী থাকে টার্মিনালে। আর লঞ্চগুলোর অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের সুযোগ নেই। কারণ আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত আছে, লঞ্চ ভরে গেলেই নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। অতিরিক্ত যাত্রী কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।   

বিআইডব্লিউটিএ সুত্রে জানা যায়, ‘রবিবার সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ২৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ফেরত এসেছে ৫৬টি লঞ্চ। ঈদ উপলক্ষে সোমবার থেকে বিশেষ সার্ভিস চালু করেছে বিআইডব্লিউটিসি। চাঁদপুরের লঞ্চগুলোর জন্য লালকুঠি ঘাট; বরিশাল, ভোলা, বরগুনা ও পিরোজপুরের লঞ্চের জন্য প্রধান টার্মিনাল এবং পটুয়াখালীর লঞ্চগুলোর ওয়াইজঘাট টার্মিনালে পন্টুন নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন শতাধিক লঞ্চ ছেড়ে যায়। বর্তমানে সারাদেশে ২০২টি নৌরুটে ৮০০টি লঞ্চ চলে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ৪২টি রুটে লঞ্চ ছাড়ে, ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৯ হাজার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়।

/এসও/এমএনএইচ
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ হলে কম দামে চাল কিনতে পারবে মানুষ: খাদ্যমন্ত্রী
ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ হলে কম দামে চাল কিনতে পারবে মানুষ: খাদ্যমন্ত্রী
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
বিটুমিন গলে যাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে দুদক
বিটুমিন গলে যাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে দুদক
সর্বাধিক পঠিত
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে