গণতান্ত্রিক বাম জোটের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় জোনায়েদ সাকি ও রুহিন হোসেন প্রিন্স অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে মিছিলসহ নির্বাচন কমিশন অভিমুখে যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
পুলিশের হামলায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমারা প্রেসক্লাব থেকে কাওরানবাজারে আসার পথে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হই। পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ প্রিন্সের ওপর হামলা চালানোর পর আমি এগিয়ে যাই। এ সময় আমাকেও পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পুলিশের হামলায় আমাদের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন,‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আমাদের কমর্সূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। আমরা প্রেসক্লাব থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে যাওয়ার সময় কাওরানবাজারে আসার পর সার্ক ফোয়ারা এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মারমুখী অবস্থান নেয়। পুলিশ আমাকেসহ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের এ নগ্ন হামলা প্রমাণ করে এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা পরে সংঘবদ্ধ হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করি। সমাবেশে আমি ও জোনায়েদ সাকি পুলিশের এ হামলার প্রতিবাদ জানাই এবং নেতাকর্মীদের ঘরে ফিরে যেতে বলি।
পুলিশের হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার আবির বলেন, ‘আমরা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাইনি। উল্টো তারাই পুলিশের সঙ্গে ধ্স্তাধস্তি করেছে। পরে তাদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তাদের এ কর্মসূচির কারণে কাওরানবাজার এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। তবে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’