প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে সংস্কৃতি কেন্দ্র করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি জানান, সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলোতে ৪শ আসনের একটি করে অডিটরিয়াম থাকবে। একটি মুক্ত মঞ্চ থাকবে। আড়াইশ আসনের একটি সিনে কমপ্লেক্স থাকবে। সেখানে একটি ক্যাফেটেরিয়া থাকবে, থাকবে বাসার জায়গা। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭টি সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘মাঝে-মধ্যেই সকালের দিকে মন্ত্রণালয়ে এসে বিভিন্ন অফিসারদের খোঁজ করি, আমি প্রায়ই তাদের পাই না। যাদের খোঁজ করি হয়তো তাদের ভাগ্য খারাপ, অথবা আমার ভাগ্য খারাপ। তারা হয়তো প্রতিদিনই আসে সময় মতো, আমি যেদিন খোঁজ করি সেদিন পাই না, এমনটি হতে পারে। অথবা তারা রোজই দেরি করেন। তাই আমরা সবাই যেন কাজের প্রতি যত্মশীল হই।’
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কপিরাইট ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। জাতীয় আরকাইভস ডিজিটাইজেশন ও আধুনিকায়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার স্মৃতিবিজড়িত রোজ গার্ডেনে মহানগর জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন নকশা অনুযায়ী মনোমুগ্ধকর স্থাপত্যের গণগন্থাগার অধিদফতর ও জাতীয় জাদুঘর কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কাজে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও অসন্তুষ্ট নই। মাঝামাঝি জায়গায় আছি। আগামীতে মন্ত্রণালয়কে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যাবো বলে আশা করছি। সবার সহযোগিতা নিয়েই আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। এটি একটি টিম ওয়ার্ক।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এবারের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রশমনে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়বে। সংশোধিত বাজেটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এ বরাদ্দসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য এ মন্ত্রণালয় বিশেষ বরাদ্দ পাবে। প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা অপেরা হাউস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের কাজও চলছে।