প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা মাদকের কবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষার জন্য এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে দিয়েছি। এই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে এবং এটা চলতেই থাকবে। কারণ, মাদক একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বুধবার (২৯ জানয়ারি) জাতীয় সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাদক দেশেরও ক্ষতি করে। আর যে মাদক সেবন করে সে নিজেরও ক্ষতি করে। কাজেই এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। যার একটা হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা।’
তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা তাদের অভিভাবক বা স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় সবক্ষেত্রেই সবাইকে সচেতন করছি, প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে মাদককে দূরে রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে যুবকদেরকে ব্যস্ত রাখা, যার ফলে তারা এসব দিকে নজর না দিয়ে নিজের জীবনকে যেন সুন্দরভাবে গড়তে পারে, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি।’
বিএনপি’র সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রটোকল নিয়ে চলি বলে আমি দেশের অবস্থা যে জানি না, সে ধারণাটা ঠিক নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যুব সমাজ হারিয়ে যাক,আমরা চাই না। তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে সুশিক্ষিত করে,তারা যেন মানুষের মতো মানুষ হয় এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে এবং দেশের উন্নয়ন করে সেদিকেই আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি এবং কী হচ্ছে আমরা নজরে রাখছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি সবদিকে নজর রাখার চেষ্টা করি। আবার যখন বেশি কাজ করি তখন এই বিরোধী দলের সাংসদরাই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রীকে কেন এত কাজ করতে হবে,দেখতে হবে। তবে আমি মনে করি, আমি যেহেতু দায়িত্বে রয়েছি, তাই সবদিকে নজর দেওয়াটা আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
তিনি অতীতের অন্ধকার যুগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন,‘’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় আসে, মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র,অর্থ তুলে দিয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু করেছিল।’
তিরি বলেন, ‘অনেক মেধাবী ছেলে যাদেরকে আমরা চিনতাম, দেখা গেলো, এসএসসিতে স্ট্যান্ড করেছে, তাকে একহাতে অর্থ আরেক হাতে অস্ত্র দিয়ে বিপথে ঠেলে দেওয়া হয়। জীবনে আর কিছু তারা করতে পারেনি। হারিয়ে গেছে সমাজ থেকে। এরকম ঘটনাও ঘটেছে।’
সংসদ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের যুব সমাজের জন্য আমরা সন্ত্রাস, মাদক,জঙ্গিবাদ দূর করে তারা যেনো সুস্থ জীবনে ফিরে আসে, সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ বাসস