X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিন পার্বত্য জেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তের বন্যা বইছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:৩৯আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৪২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শান্তিচুক্তি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অনেক ক্যাম্প ছেড়ে চলে এসেছেন। সেসব স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আধুনিক পুলিশ সদস্যদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ, এরইমধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রক্তের বন্যা বয়ে চলেছে।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেএসএস চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের মাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন এনেছি। তিনি সেখানকার সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সেখানকার আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে কিছু সুপারিশ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যে শান্তিচুক্তি হয়েছিল, সেগুলোর অনেকই বাস্তবায়িত হয়েছে। আবার কিছু কিছু বাস্তবায়িত হয়নি। সেসব বিষয় নিয়ে সন্তু লারমার সঙ্গে কথা বলেছি। তার সঙ্গে চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি এবং খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সেজন্য খালি সেনা ক্যাম্পগুলোসহ যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।’

সন্তু লারমার সঙ্গে বৈঠক শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার সম্মেলন কক্ষে র‌্যাবের শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণে নির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী সাহসে মানুষের পাশে’ বিজ্ঞাপনচিত্র এবং অনসাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ওআইভিএস) উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।

র‌্যাবের এই সফটওয়্যার উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র‌্যাব দক্ষতার সঙ্গে মানুষের আস্থার জায়গাটি দখল করে নিয়েছে। জলদস্যু, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দমনেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে তারা।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে যে বিভিন্ন বন্দুকযুদ্ধে শুধু অপরাধীরা হতাহত হয়। এটা ঠিক নয়। অপরাধীরা যখন চলাচল করে তখন তারা অস্ত্র নিয়ে চলে। তাদের যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করেন, তখন তারা ফায়ার করে। আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ফায়ার করে। এসব ঘটনায় র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক  সদস্যও হতাহত হন। এ পর্যন্ত র‌্যাবের ২৮ জন নিহত হয়েছেন। পাঁচ শতাধিক সদস্য আহত ও পঙ্গু হয়েছেন।

 

 

/জেইউ/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আরও ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবে সুন্দরবনের আগুন লাগা এলাকা
আরও ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবে সুন্দরবনের আগুন লাগা এলাকা
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চালাতে ওআইসির সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চালাতে ওআইসির সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রেখে পুরস্কার পেলো সানশাইন ব্রিকস
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রেখে পুরস্কার পেলো সানশাইন ব্রিকস
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?