একাদশ সংসদের চলতি অধিবেশনে তিন জন সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে। তিন দিনই প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেছেন। সর্বশেষ জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর সংসদে আলোচনাকালে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্য হলো এই সংসদের একের পর এক সদস্য হারাচ্ছি। এই সংসদের আমরা এতজন সদস্য হারালাম‑ এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। এ রকম প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে শোক প্রস্তাব নিতে চাই না। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক।
জাতীয় পার্টির এমপিকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা আরও একজন সংসদ সদস্যকে হারালাম। তিনি অত্যন্ত বিদুষী ছিলেন। তার মতো শিক্ষাদীক্ষা ও জ্ঞানী মানুষ মেয়েদের মধ্যে কমই পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, চিত্রশিল্পী, সমাজসেবক, নারী উদ্যোক্তা। খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের নতুনভাবে প্রেরণা জুগিয়েছেন। এরকম বহু গুণসম্পন্ন মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এটা আমাদের সমাজের জন্য বিরাট ক্ষতি।
তিনি বলেন, এবার যখন শুরু করলাম দুই জন সংসদ সদস্য হারিয়েছি। আবার এবার মুলতবি অধিবেশনের আগে কালকে (গতকাল) খবর পেলাম এই মৃত্যুর। সত্যি খুবই হৃদয় ভারাক্রান্ত হলো।
মাসুদা রশীদের আত্মার মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, তিনি খুবই মিষ্টভাষী ও জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে সমাজকে ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও অনেক অবদান রাখতে পারতেন। তার মৃত্যুতে আমাদের সমাজের যথেষ্ট ক্ষতি হলো।
তিনি বলেন, তার বহুমুখী প্রতিভা নারী সমাজকে প্রেরণা দেবে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সাহস জোগাবে।
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে সবাই যেন স্বাস্থ্য-সুরক্ষা মেনে চলেন। যারা টিকা নিয়েছেন তাদেরও বলবো স্বাস্থ্যবিধি যেন মেনে চলেন। দেশ ও প্রবাসের সবার মঙ্গল কামনা করছি।