ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বই আছে। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ তাঁর লেখক সত্তার অনন্য পরিচয়ে ভাস্বর। গ্রন্থ তিনটির বিষয়বস্তু পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাঁর সংগ্রাম, অধ্যবসায় ও আত্মত্যাগের মহিমা বর্তমান প্রজন্মের জন্যও অনুসরণীয়। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর জন্য বাংলাদেশের এমন কোনও মা ছিলেন না, যারা দোয়া করেননি।
সোমবার (২১ মার্চ) ঢাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নর্থ সাউথের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মু. ইসমাইল হোসেন বক্তৃতা করেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। উন্নত অনেক দেশ ফাইভ-জি চালু করতে পারেনি। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে গত দুই বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার তিনগুণেরও বেশি বেড়ে ৩৩০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ছিল মাত্র সাড়ে ৭ জিবিপিএস।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলা ও বাঙালির স্বার্থ নিয়ে সবসময় ছিলেন সোচ্চার।
পরে মন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নার, জিম, পাঠাগার, ক্যান্টিন ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।