নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা চাই সব দল আসুক। ইলেকশন করুক, কার কোথায় কতটুকু যোগ্যতা আছে। আওয়ামী লীগ কখনও ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি। আসবেও না। আওয়ামী লীগ কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চায়ের আমন্ত্রণ জানাবেন কিনা- এই প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণ একটু কমই দেখা যাচ্ছে। করোনা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দিতো না। তারপরও আমি আমার অফিসে একটু জোর করেই... কতদিন আর দূরে থাকা যায়। সেই জন্য। তবে করোনার কারণে এবার একটু চিন্তা করতে হবে। অনেকে আসতেও পারবে না। নির্বাচন হলে রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত কে আসবে কে আসবে না। সেখানে আমরা তো আর চাপিয়ে দিতে পারি না। রাজনীতি করতে হলে দলগুলো নিজে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা চাই সব দল অংশগ্রহণ করুক।
তিনি বলেন, গতবার যখন নির্বাচনে এলো, ৩০০ আসনে নমিনেশন দিয়ে হেরে গেলো। তখন সব দোষ কার? আমাদের! জনগণের কাজ করে, জনগণের মন জয় করে, জনগণের ভোট নিয়েই কিন্তু বারবার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কিন্তু কখনও কোনও ডিকটেটরের পকেট থেকে বের হয়ে আসেনি। বা ইমার্জেন্সি দিয়ে কারও ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ভোটের মাধ্যমেই এসেছে। নির্বাচনের মাধ্যমেই এসেছে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, এ দেশে নির্বাচনের যতটুকু উন্নতি, যতটুকু সংস্কার, এটা কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট করে সবাইকে নিয়েই করে দিয়েছি। এরপর যদি কেউ না আসে সেখানে আমাদের কী করণীয়। হারার ভয়ে আসবো না। আর একেবারে সবাইকে লোকমা তুলে খাইয়ে দিতে হবে। জিতিয়ে দিতে হবে তবে আসবো, এটা তো আর হয় না।
মিলিটারি ডিকটেটররা ওভাবেই করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যাদের ওটাই অভ্যাস তারা তো জনগণের কাছে যেতে ভয় পায়। জনগণের সামনে ভোট চাইতে ভয় পায়, এটাই বাস্তবতা। অগ্নিসন্ত্রাস করে যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের কি মানুষ ভোট দেবে? কখনও দিতে পারে না। কারণ, সেই পোড়া ঘা তো এখনও সবার শুকায়নি। এখনও মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। গ্রেনেড হামলায় যারা আহত। যারা লুটপাট করে খেয়েছে। সেই কথাগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। তবে আমরা তো চাই সবাই নির্বাচনে আসুক। অন্তত আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে তো ক্ষমতায় আসে না, আসেও নাই। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় এসেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ডিসেম্বর মাসে আমরা দলের সম্মেলন করবো। দল সিদ্ধান্ত নেবে। আর পরবর্তী বছরই নির্বাচন। নির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। আর দলের প্রত্যেকটা বিষয়ে গঠনতন্ত্র মেনে আমরা সিদ্ধান্ত নিই। প্রত্যেকবার আমরা কী কী অঙ্গীকার করেছিলাম, কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি তার হিসাব করি। আগামীতে আমরা কী করবো সেটাও সেভাবে তৈরি করি।