বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলে বাংলাদেশ সফরকালে স্বীকার করে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা জানিয়েছেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মো. হাশিমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। গত ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেছেন ডোনাল্ড লু।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমাকে ডোনাল্ড লু বলেছেন মানবাধিকারের দিক থেকে বাংলাদেশে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কখনও কারও সম্পর্কে ভালো লেখে না। কিন্তু বাংলাদেশের মানবাধিকারের উন্নতি হয়েছে বলে তারা নিজেদের প্রতিবেদনে লিখেছেন।
র্যাবেরও প্রয়োজনীয়তা আছে
মন্ত্রী বলেন, ‘লু বলেছেন, আমরা র্যাবের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা হয়তো দিতাম। কিন্তু আমরা দেখেছি, র্যাব অনেক ভালো কাজ করেছে। আমরা বুঝি র্যাবেরও প্রয়োজনীয়তা আছে। এই যে মানবাধিকারের বিশাল উন্নতি, এই কারণে বাংলাদেশকে আর নিষেধাজ্ঞা দিইনি। তিনি এ কথা আমাকে পরিষ্কার করে বলেছেন।’
র্যাব সংস্কারের সুপারিশ তিনি করেছেন কিনা- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘দেখুন, সংস্কারের সুপারিশ আসুক আর না আসুক, র্যাবের কোনও সদস্য অন্যায়, অপরাধ বা ভুল করলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি আস্তে আস্তে হয়ে থাকে।’
নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি লু
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কেমন হতে হবে তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি ডোনাল্ড লু। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ কেন চায়, সেটি তিনি আমাকে বলেছেন। গণতন্ত্র উত্তরণের যে পদ্ধতি, তা বাংলাদেশে ভালোভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনা
মন্ত্রী বলেন, ‘সর্বশেষ আমার একটি দাবির কথা লুকে বলেছি। সেটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে হবে। তখন তিনি আমাকে বলেছেন, পররাষ্ট্র দফতর এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল। তারাও চায় তাকে ফেরত দিতে। কিন্তু ব্যাপারটি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে ডোনাল্ড লু আমাকে বিচার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত আনতে যত দরজায় নক করা দরকার, সেটি আমি করবো।’