মাঠ পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানালো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর প্রধানরা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা বৈঠক করেন। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ-আল মামুন, বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ও র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন অংশ নেন।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন যেসব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তাদের প্রধানদের সঙ্গে আজ আমাদের বিশেষ মিটিং হয়েছে। সব বাহিনী মাঠপর্যায়ে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমে গেছে। এটা একটা ফলোআপ মিটিং ছিল। কোন বাহিনীর কত জন, কোথায়, কীভাবে কাজ করছেন; সেই পরিকল্পনা তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে কমিশনকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেই তারা বলেছেন, এই পর্যন্ত মাঠে যে পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অবস্থা, তা এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরনের কোনও আশঙ্কা করছেন না। তবে যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য প্রত্যেকেই তারা তাদের নিজ নিজ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও সক্রিয় রাখবে, যাতে কোনও ধরনের ঘটনা ঘটার আগেই তা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়।’
তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা, তারা তো পেট্রল ডিউটি করবেন। তারপর বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে পেট্রল ডিউটি করবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে অবস্থান করবে। যথন স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ বেসামরিক প্রশাসন যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে তারা সেই সমস্ত জায়গাগুলোতে কাজ করবেন। এছাড়া সমন্বিতভাবে তারা পেট্রল ডিউটি অব্যহত রাখবে। জনগণের মধ্যে যেন ভীতি না থাকে, যে ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদের কোনও বিপদ না এই বিষয়টি তারা কাজ করবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি না, এই নির্বাচনে কোনও সহিংস ঘটনা ঘটবে। যদি ঘটে তখন সমন্বিতভাবে সবাই সেটা প্রতিহত করবে।’
যেখানে গলযোগ হবে সশস্ত্র বাহিনী কি সেখানে মুভ করবে বা সেটা প্রতিহত করার কোনও ব্যবস্থা নেবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। সুতরাং যেখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে বেসামরিক প্রশাসন যেখানে মনে করবে সেখানে তারা মোকাবিলা করবে।’