X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় ভারত: মুর্মু

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১৬আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১৬

ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় ভারত। পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের একটি যুব প্রতিনিধিদল সফরের সময় এ কথা বলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

মুর্মু আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধন রয়েছে। যা দুই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ত্যাগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত ভারত।

তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এই চেতনাকে রক্ষা করতে হবে এবং লালন করতে হবে। যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে অনন্য বন্ধনকে অনুপ্রাণিত করে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক হৃদয় ও আত্মার সম্পর্ক। কারণ দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। শিল্প, সঙ্গীত, ক্রিকেট ও খাবারের ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রবি ঠাকুরের লেখা দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতই গর্বের উৎস। বাউল সঙ্গীত ও কাজী নজরুল ইসলামের রচনার প্রতি আমাদের ভালবাসা অভিন্ন। অভিন্ন ঐতিহ্যে ঐক্য ও বৈচিত্র্য উদ্‌যাপিত হয়।

ভারতের রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ভারত ও বাংলাদেশ একটি বৃহৎ ও উদ্যমী যুব জনসংখ্যার আবাসস্থল। যাদের বিশ্বকে একটি নতুন রূপ দেওয়ার সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে।

এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনের নেতা হিসেবে সবুজ, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলা তরুণদের দায়িত্ব।

তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রতিনিধি দলের সদস্যদেরকে সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা হয়েছে। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, যেখানে ৫০ শতাংশেরও বেশি নারী এবং সর্বস্তরের অংশগ্রহণকারীরা রয়েছেন।

এদের সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখানে তাদের উপস্থিতি শুধু সফর নয়। এটি দুই দেশের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন গড়ে তুলবে। এটি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের স্থায়ী চেতনার প্রমাণ। যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে তুলে ধরছে।

রাষ্ট্রপতি যুব প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ভারতের বিভিন্ন দিক এবং বৈচিত্র্য ও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে উন্নয়নের অভিজ্ঞতার সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, যেহেতু তারা সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে, সেহেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্যও তাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম ২০১২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিল যার উদ্দেশ্য ছিল দুটি দেশের তরুণদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সমঝোতা গড়ে তোলা, ধারণার আদান-প্রদান এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির উপলব্ধি উন্নত করা।

সূত্র: বাসস

/এসএইচএম/
সম্পর্কিত
ভারতের মণিপুরে আবারও জাতিগত সহিংসতা
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
কলকাতা স্টেশনে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি
সর্বশেষ খবর
গরমে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করছে ‘স্বপ্ন’
গরমে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করছে ‘স্বপ্ন’
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
ভারতের মণিপুরে আবারও জাতিগত সহিংসতা
ভারতের মণিপুরে আবারও জাতিগত সহিংসতা
বাংলা গানের উন্নয়ন ও বিকাশে ‘অংশীজন সভা’
বাংলা গানের উন্নয়ন ও বিকাশে ‘অংশীজন সভা’
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু