যুক্তরাজ্যের ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এই পুরস্কার গ্রহণ এবং দ্বিপক্ষীয় সফরে ১০ থেকে ১৩ জুন যুক্তরাজ্য সফর করবেন প্রধান উপদেষ্টা। সফরকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট ডেভিড ল্যামি, কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা ও থিংক ট্যাঙ্কের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার সফর উপলক্ষে বুধবার (৪ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ‘মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন এবং একটি শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যময় ও টেকসই পৃথিবী বিনির্মাণের চলমান প্রচেষ্টায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস এ বছরের সম্মানজনক ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে মনোনীত করেছেন।’
আগামী ১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস’স প্যালেসে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এই পুরস্কার বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও দৃপ্ত ও উজ্জ্বল করবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, রাজা তৃতীয় চার্লস তথা তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলস ১৯৯০ সালে ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন’ নামে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নে অনবদ্য অবদান রাখায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুনকে সম্মানসূচক হারমনি পুরস্কার দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এই সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর ও সুসংহত করবে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে এবং চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা প্রথমবারের মতো ইউরোপের কোনও দেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন।